এই সপ্তাহেই হয়ত মোদী ক্যাবিনেটের বিস্তার হতে চলেছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমস্ত বৈঠক স্থগিত করে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে যে, ক্যাবিনেট বিস্তারের জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রায় ২০ জন নতুন মুখ আগামী দিনে মন্ত্রীপদে শপথ নিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। আর সেই তালিকায় বাংলার দুই তরুণ সাংসদের নাম নিয়েও উঠছে তুমুল জল্পনা।
প্রথম জন হলেন বনগাঁর সাংসদ তথা মতুয়া পরিবারের বিশিষ্ট সদস্য শান্তনু ঠাকুর। দ্বিতীয় জন হলেন, কোচবিহারের সাংসদ তথা যুব নেতা নিশীথ প্রামাণিক। মতুয়াদের কথা মাথায় রেখেই শান্তনুবাবুকে মোদী ক্যাবিনেটে জায়গা দেওয়া হতে পারে। আরেকদিকে, ২০১৯-এর লোকসভায় বিজেপিকে ঢেলে ভোট দেওয়া উত্তরবঙ্গের মানুষদের প্রতিনিধি হিসেবে নিশীথ প্রামাণিকও নতুন মুখদের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারেন।
বিজেপির তরফ থেকে আগাগোড়াই উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত করা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। এমনকি বঞ্চিত উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য গড়ার দাবিতে সরব হতেই দেখা গিয়েছে বিজেপির সাংসদ জন বারলাকে। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আলদা রাজ্যের ইস্যুতে কর্ণপাত করতে রাজি নয়। আলাদা রাজ্যের বদলে উত্তরবঙ্গকে আরও উন্নত করতে এবং সেখানে বিজেপির ঘাঁটি আরও মজবুত করতেই নিশীথবাবুকে বেছে নিতে পারেন তাঁরা।
ইতিমধ্যে নিশীথ প্রামাণিক, সৌমিত্র খাঁ-দের সঙ্গে বৈঠকও করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এছাড়াও একাধিকবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লী ডেকে ওনার সঙ্গেও পরামর্শ করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। শুভেন্দুবাবু যে শুধু রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কেন্দ্রকে নালিশ জানিয়েছেন তা নয়, তিনি রাজ্যে বিজেপির আগামী রণনীতি নিয়েও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
আর সেই আলোচনাতে বাংলার সাংসদদের মোদী ক্যাবিনেটে জায়গা দেওয়া নিয়ে চর্চা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি অভূতপূর্ব ফল করে বাংলা থেকে ১৮ জন সাংসদকে দিল্লীতে পাঠিয়েছিল। আর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং ২০২৪-এর নির্বাচনের ঘুঁটি সাজাতেই বাংলার দিকে বিশেষ নজর দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই বাংলা থেকে একাধিক সাংসদ এবার মোদী ক্যাবিনেটে জায়গা করে নিতে চলেছেন।