বিধানসভার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। অধিবেশনের প্রথম দিনে বিজেপির হাঙ্গামায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ভাষণ না দিয়েই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বিজেপির অভিযোগ ছিল যে, সরকার রাজ্যপালকে দিয়ে মিথ্যা ভাষণ পড়াচ্ছে। ভোট পরবর্তী হিংসার কোনও উল্লেখই নেই সেখানে তাই এই ভাষণের মূল্যও নেই।
বিধানসভার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেও বিজেপি হাঙ্গামা করে আর বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। এমন দলদাস স্পিকার আগে দেখিনি।”
স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিন বলেন, ‘একজন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে লড়ে হেরেছেন। ওনাকে যে হারিয়েছে, সে দলনেতা হয়েছে। কিন্তু একথা বিধানসভায় বলা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর ইশারায় তৃণমূলের বিধায়করা রে রে করে ওঠেন।” শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আইনমন্ত্রী স্পিকারের কানে কানে গিয়ে বলার পর স্পিকার বলেন, মামলাটি বিচারাধীন।” শুভেন্দুবাবু প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘তাহলে কি আমি এখানে থাকব না? আমাকে বের করে দিন।”
উল্লেখ্য, বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়কদের প্রতিহত করার জন্য বিজেপি যেমন রণনীতি স্থির করেছে, তেমনই তৃণমূলও পাল্টা রণনীতি বানিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ শানাচ্ছে। আর এই কারণেই পরপর দু’দিন বিধানসভায় তুমুল হই হট্টগোল দেখা দিল/