দুপুর ১টা সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারে জমায়েত। তার পরেই বিজেপি কর্মীরা কলকাতা পুরসভার দিকে এগোবে। সামনে থাকবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু এই কর্মসূচির জন্য অনুমতিই দেয়নি পুলিশ। ফলে মিছিল বাধা পাবেই। আর তার ফলে তৈরি হতে পারে অশান্তির পরিবেশ।
একটা সময় পর্যন্ত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ঠিক করেছিল অনুমতি না নিয়েই হবে কর্মসূচি। কারণ, করোনা পরিস্থিতিতে জমায়েতের অনুমতি যে মিলবে না তা জানাই ছিল। কিন্তু দলের যুব শাখার পক্ষে রবিবার লালবাজারে চিঠি পাঠিয়ে পুলিশকে পুরসভা ঘেরাও অভিযানের অনুমতি চাওয়া হয়। দলের মহিলা শাখার পক্ষেও রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল একটি চিঠি দিয়েছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড বিধি মেনেই পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখানো হবে। তবে তারও অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে কি কলকাতা পুলিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই হবে সোমবারের কর্মসূচি? এমন প্রশ্নের জবাবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘চ্যালেঞ্জের কিছু নেই। পুলিশকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি যে বিক্ষোভ অভিযান হবে। এ বার পুলিশ যা করার করবে।’’
জাল টিকা কাণ্ডের প্রতিবাদেই বিজেপি-র এই পুরসভা অভিযান। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার সরব হলেও আন্দোলন জমাতে না পারা বিজেপি জাল ভ্যাকিসন কাণ্ডকেই হাতিয়ার করতে চাইছে। দলের নেতারা প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছেন যে, জাল ভ্যাকসিন নিয়ে যদি কেউ মারা যেতেন, তাহলে তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকারের নামে দোষ দিত। বলা হত, মোদী সরকার ভুয়ো ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে বলেই মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভুয়ো টিকা কাণ্ডে তৃণমূলের অনেক নেতা মন্ত্রী জড়িত রয়েছেন। এ বার সেই অভিযোগ নিয়েই ভোটের পরে প্রথম কলকাতায় কোনও আন্দোলনে নামছে বিজেপি।
জাল ভ্যাকসিন-কাণ্ড সামনে আসতেই রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানিয়েছিলেন, জুলাই মাসের শুরুতেই লালবাজার ঘেরাও করা হবে। কিন্তু তখন বিজেপি নেতৃত্বের আশা ছিল, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে লোকাল ট্রেন চালু হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না জানার পরেই বিজেপি এই কর্মসূচি নেয়।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত দলের যুব ও মহিলা শাখার উদ্যোগেই জমায়েত হবে সোমবার। যোগ দেবেন কলকাতার কর্মী, সমর্থকরাই। বিধানসভার অধিবেশন চলায় এখন দলের অধিকাংশ বিধায়কই কলকাতায় রয়েছেন। সোমবার বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে গেলে বিধায়কদেরও বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে।