Petrol-Diesel Price Today: কলকাতায় একশো ছুঁইছুঁই পেট্রোলের দাম, ডিজেল কত ? সিকিমে সেঞ্চুরি ‘কালো সোনা’ !

 আরও দামি পেট্রোল-ডিজেল। আজ, সোমবার আবার বাড়ল পেট্রোলের দাম। লিটারপ্রতি ৩৯ পয়সা বেড়ে কলকাতায় পেট্রোলের দাম হল ৯৯ টাকা ৮৪ পয়সা (Petrol Price)। তবে এবার ডিজেলের দাম বাড়েনি। লিটারপ্রতি ৯২ টাকা ২৭ পয়সাই আছে ডিজেলের দাম। অন্যদিকে, কলকাতাকে পিছনে ফেলে রাজ্যের ২৩টির মধ্যে ১৯টি জেলায় ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি পার করেছে পেট্রোল। বাড়ছে স্নায়ুর চাপ। কোথাও একশো ছুঁয়েছে। কোথাও একশোর দোরগোড়ায়। পেট্রোলের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ একাধিক জেলায়। গত ৫দিনে কলকাতায় একটু একটু করে সেঞ্চুরির পথে পেট্রোল।

অন্যদিকে উত্তর-পূ্র্ব ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে পেট্রোলের দাম ১০০ টাকা ছাড়াল সিকিমে ৷ গ্যাংটকে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১০০.৫০ টাকা ৷ অন্যদিকে ডিজেলের দাম ৯১.৫৫ টাকা প্রতি লিটার ৷ পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি সিকিমে বেড়েছে ৩৫ পয়সা ৷ এবং ডিজেলের বেড়েছে ১৮ পয়সা ৷

সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তৃণমূলের। পাল্টা সরব গেরুয়া শিবির। বিজেপি-তৃণমূল তরজা তুঙ্গে। পেট্রোল-ডিজেলের ক্রমবর্ধমান দামে নাভিশ্বাস। রাজ্যের বেশকয়েকটি জেলায় পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। কলকাতা সহ অন্যান্য জেলায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পেট্রোল। প্রতি লিটার ডিজেলও ৯০ পেরিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, পেট্রোল ও ডিজেলের দামের সিংহভাগ চলে যায় করের খাতায়।

পেট্রোলের ক্ষেত্রে মোট দামের ৩৩.২১% কেন্দ্রের কর এবং ১৯.১৮% রাজ্যের। ডিজেলের মূল দামের ৩৪.৫৫% কর বাবদ নিচ্ছে কেন্দ্র। আর ১৪.১৬% কর বাবদ নিচ্ছে রাজ্য। এই অবস্থায় কেন্দ্রকে নিশানা করে নেট দুনিয়ায় ঝড় তুলল তৃণমূল। ইংরেজিতে ৪ শব্দের হ্যাশট্যাগে প্রচার শুরু। তাতে লেখা,#ModiBabuPetrolBekabu ৷

আক্রমণের সুরটা ট্যুইটারে বেঁধে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাকদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি লেখেন, ঐতিহাসিক উচ্চতায় জ্বালানি তেলের দাম। দেখে যেন মনে হচ্ছে মানুষের সমস্যা বাড়াতে খুবই পরিশ্রম করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২০ সালের তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। দেশের মানুষের দাবিগুলি উপেক্ষা করে দোষারোপ করার খেলায় মেতে রয়েছে ৷ অভিষেকের মতোই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের অধিকাংশই ‘মোদি বাবু, পেট্রল বেকাবু’ হ্যাশট্যাগে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির জন্য মোদি সরকারকে আক্রমণ করেছেন। টুইট করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, অরূপ রায়রা।

নোটবন্দি থেকে জিএসটি। প্রতিবার প্রথম প্রতিবাদে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সবার আগে আন্দোলনে ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সংসদে ঝড় তুলবে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্য দলগুলির সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলবে ঘাসফুল শিবির ৷ করোনা কালে মিটিং-মিছিল করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সোশাল মিডিয়াই যেন তৃণমূলের হাতিয়ার। নেট দুনিয়ায় যেন ট্রেন্ডিং ‘মোদি বাবু, পেট্রল বেকাবু’। ট্যুইটারে তৃণমূলকে পাল্টা তোপ বিজেপির। লেখা হয়, মোট সংগৃহীত করের ৪২ শতাংশ রাজ্যগুলিকে ফেরত দেওয়া হয়। দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বাধিক কর বসায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন শুল্ক কমাচ্ছেন না? শুধুমাত্র সিন্ডিকেটকে পাইয়ে দিতেই এটা প্রয়োজন? কী কারণে তৃণমূলকে নির্বাচিত করেছে বাংলার মানুষ?

জ্বালানির দাম চড়ছে। আর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে এভাবেই চড়ছে তরজা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.