বরুন বিশ্বাস…..এবং জটায়ু

৫ই জুলাই ২০১২, আজকের দিনে….হত্যা করা হয়েছিলো বাঙালীর বিগত দশকের এক এবং একমাত্র প্রতিবাদের স্পর্ধাকে যে নিজের সর্বোচ্চ উজাড় করে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারতো শাসকের পোষা ধর্ষক বাহিনীর বন্দুকের নলের সামনে।

যদি আমায় কেউ প্রশ্ন করেন, বিগত দশ বছরে এই বঙ্গভূমে গর্ব করার মতন কি আছে?

  • আমার চোখ বন্ধ করে উত্তর হবে, “বরুন বিশ্বাসের মেরুদণ্ড”।

…. ঠিক ওই বুড়ো জটায়ুর ডানার মতন দৃঢ়,…..তাঁকে কাটা যায়,….তাঁকে হত্যা করা যায়,….

কিন্তু তাঁর ঋজুতা; কালের সময় পেরিয়ে বেঁচে থাকে হাজার লক্ষ গাথায়।

তাই জটায়ুর মতন এত স্বল্প বর্নিত……. কিন্তু আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এত তীব্র ভাবে প্রভাব রেখে যাওয়া চরিত্র মনে হয়ে খুব কমই আছে।

আসলে জটায়ুদের মৃত্যু হয়ে না…..। তাই তারা বারে বারে ফিরে আসে আমাদের সমাজ সভ্যতার ইতিহাসে “বরুন বিশ্বাসদের” রূপে…… অবিচার, নারী নির্যাতন দেখে তারা আর পাঁচ জনের মতন বিমুখ থাকে না……। নিজের ক্ষুদ্র সামর্থ্য জেনেও একাই দাঁড়িয়ে পড়ে প্রবল পরাক্রমী “সিস্টেমের” বিরুদ্ধে!!!

হ্যাঁ নিজের “পরাজিত মৃত্যু” নিশ্চিত জেনেও!!!

সে “সিস্টেম” কখনো হয়তো তীব্র ক্ষমতা সম্পন্ন দশাণন রাবন,…. আবার কখোনও বা হয়তো স্বৈরাচারী দোর্দণ্ড প্রতাপ শাষক!!

তাই হয়তো শুধু ভারতবর্ষ নয়, পুরো দক্ষিণপূর্ব এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হিন্দু-বৌদ্ধ মন্দির গাত্রে আজও জটায়ুর অসম লড়াইয়ের শিলাচিত্র…. এক অনন্য সাহসী চরিত্রের প্রতীক রূপে বিদ্যমান রয়ে গেছে সভ্যতার ময়দানে, কালের হাজার বছরের দংশন পেরিয়েও।

সৌজন্যেঃ শ্রী Santanu Sarkar…

৫ই জুলাই ২০১২, আজকের দিনে….হত্যা করা হয়েছিলো বাঙালীর বিগত দশকের এক এবং একমাত্র প্রতিবাদের স্পর্ধাকে যে নিজের সর্বোচ্চ উজাড় করে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারতো শাসকের পোষা ধর্ষক বাহিনীর বন্দুকের নলের সামনে।

যদি আমায় কেউ প্রশ্ন করেন, বিগত দশ বছরে এই বঙ্গভূমে গর্ব করার মতন কি আছে?

  • আমার চোখ বন্ধ করে উত্তর হবে, “বরুন বিশ্বাসের মেরুদণ্ড”।

…. ঠিক ওই বুড়ো জটায়ুর ডানার মতন দৃঢ়,…..তাঁকে কাটা যায়,….তাঁকে হত্যা করা যায়,….

কিন্তু তাঁর ঋজুতা; কালের সময় পেরিয়ে বেঁচে থাকে হাজার লক্ষ গাথায়।

তাই জটায়ুর মতন এত স্বল্প বর্নিত……. কিন্তু আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এত তীব্র ভাবে প্রভাব রেখে যাওয়া চরিত্র মনে হয়ে খুব কমই আছে।

আসলে জটায়ুদের মৃত্যু হয়ে না…..। তাই তারা বারে বারে ফিরে আসে আমাদের সমাজ সভ্যতার ইতিহাসে “বরুন বিশ্বাসদের” রূপে…… অবিচার, নারী নির্যাতন দেখে তারা আর পাঁচ জনের মতন বিমুখ থাকে না……। নিজের ক্ষুদ্র সামর্থ্য জেনেও একাই দাঁড়িয়ে পড়ে প্রবল পরাক্রমী “সিস্টেমের” বিরুদ্ধে!!!

হ্যাঁ নিজের “পরাজিত মৃত্যু” নিশ্চিত জেনেও!!!

সে “সিস্টেম” কখনো হয়তো তীব্র ক্ষমতা সম্পন্ন দশাণন রাবন,…. আবার কখোনও বা হয়তো স্বৈরাচারী দোর্দণ্ড প্রতাপ শাষক!!

তাই হয়তো শুধু ভারতবর্ষ নয়, পুরো দক্ষিণপূর্ব এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হিন্দু-বৌদ্ধ মন্দির গাত্রে আজও জটায়ুর অসম লড়াইয়ের শিলাচিত্র…. এক অনন্য সাহসী চরিত্রের প্রতীক রূপে বিদ্যমান রয়ে গেছে সভ্যতার ময়দানে, কালের হাজার বছরের দংশন পেরিয়েও।

সৌজন্যেঃ শ্রী Santanu Sarkar…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.