প্রপঞ্চসার তন্ত্র (ত্রিপুরা বিদ্যা )
“অথ প্রবক্ষ্যামি সুদুর্লভাপ্তিম্ বিদ্যাং বিশিষ্টাং ত্রিপুরাবিদানাং।
যা সা ত্রিবেদাদি জগত্যাবাপ্ত ত্রিংশৎপ্রকারা ত্রিদশাভিবন্দ্যা।।”
~ প্রপঞ্চসার তন্ত্র [৯ম পটল]
ভাবার্থ ;
“এখন আমি সেই বিশিষ্ট ত্রিপুরা নামক বিদ্যা বলছি যা লাভ করা খুবই দুর্লভ। সেই বিদ্যা ত্রিবেদের মূলতত্ত্ব, এই বিদ্যা জগতে ত্রিশ প্রকারে প্রচারিত এবং দেবতাগণ পর্যন্ত এই বিদ্যার বন্দনা করেন।।”
এই বিদ্যা যা ভগবান আদিশঙ্করাচার্য্য তাঁর প্রপঞ্চসার তন্ত্রে ব্যাখ্যা করেছেন তা অত্যন্ত দুর্লভ। এই বিদ্যায় পারঙ্গম হওয়া আরও অধিক কঠিন। আর এগুলো মূলত গুরুর কাছ থেকে লাভ করার বস্তু তাই বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। সাধারণ পরিচয় মাত্র দেয়া যেতে পারে।
এই বিদ্যার তিন অংশ তিন কূটের প্রকাশক। বাগ্ভব কূট, কামরাজ কূট এবং শক্তিকূট(এগুলো শ্রীবিদ্যার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ)। ভাষ্যকারদের মতে এই তিন অংশ আবার তিন দেবীর সাথেও যুক্ত। ত্রিপুরভৈরবী, ত্রিপুরবালা এবং ত্রিপুরসুন্দরী। ত্রিপুরভৈরবীর সাথে এই বিদ্যার সংযোগ অগ্নিমণ্ডলে, এই অবস্থায় এটি তমঃ প্রধান। এটি সংহারের সূচক। ত্রিপুরবালার সাথে এই বিদ্যার সংযোগ সূর্যমণ্ডলে, এই অবস্থায় এটি রজঃ প্রধান। এটি স্থিতির সূচক। আর কামেশ্বরী ললিতার সাথে এই বিদ্যার সংযোগ সোমমণ্ডলে, এই অবস্থায় এটি সত্ত্বঃ প্রধান। এটি সৃষ্টির সূচক।।