টাই-ব্রেকারে নিষ্পত্তি হয়েছে সুইৎজারল্যান্ড-স্পেন ম্যাচের। ‘টেম্পারমেন্ট’ বজায় রেখে সেমিতে স্প্যানিশ আর্মাডা। বেলজিয়াম বনাম ইতালি ম্যাচেও কি নির্ণায়ক হল এই ‘টেম্পারমেন্ট’?
যাবতীয় জল্পনা শেষে এডেন হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রুইনকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন মার্তিনেজ। পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে ইতালির বিরুদ্ধে দল সাজিয়েছিলেন কোচ। কিন্তু বদলে যাওয়া ইতালির বিরুদ্ধে তা হয়তো যথেষ্ট ছিল না। রবার্তো মানচিনির কোচিং-এ ভেঙেচুরে গিয়েছিলেন ইতালিয়ান ফুটবল সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা। এখনকার ইতালি আর রক্ষণের আবরণে মুড়ে রাখে না নিজেদের। আজ্জুরিরা এখন মাঠে নামে তিনজন ফরোয়ার্ডকে সামনে রেখে- লরেঞ্জো ইম্মোবিলে, সিরো ইন্সিগ্নে, ফেডেরিকো ছিইসে৷
ইতালির কোচিং ম্যানেজমেন্টও যেন একেবারে নিখুঁত। কোচ রবার্তো মানচিনি এবং তাঁর লুকা ভিয়াল্লির বোঝাপড়া প্রবেশ করেছে স্কোয়াডের মধ্যে। ক্লাব ফুটবলে বিভিন্ন দলে খেলা ফুটবলারদের এক সূত্রে গাঁথতে খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়নি তাঁদের। বেলজিয়াম এখন বিশ্ব ফুটবল ক্রম তালিকার শীর্ষে। কিন্তু ইতালিও হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিল রসায়নের সংজ্ঞা। সার্বিক ফর্মের বিচারের ইতালির ধারে কাছে নেই কোনও দেশ। ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থেকে তারা পেছনে ফেলেছে নিজেদের ৮৩ বছর আগের রেকর্ড। তারা শেষবার পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিল ২০১৮ সালে পর্তুগালের বিরুদ্ধে।
বেরেল্লির গোলে ৩১ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল ইতালি। প্রথমার্ধেই তাদের দ্বিতীয় গোল। ৪৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইন্সিগ্নে। এরপর বিরতির ঠিক সংযোজিত সময়ে পাল্টা আক্রামণে উঠে এসেছিল বেলজিয়াম। নিজেদের বক্সে ডোকুকে ফাউল করে বসেন ডি লরেঞ্জো। কার্ড না দেখালেও পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি রেফারি। ব্যবধান কমান রোমেলু লুকাকু।
চলতি মরশুমে ইন্টার মিলানে প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন লুকাকু। সিরি ‘এ’ সেরার ফুটবলার হয়েছেন। সেই তিনিই ৬১ মিনিটে হাতছাড়া করলেন গোল করার অন্যতম সহজ সুযোগ। ইতালির ডিফেন্সকে নিজেদের দিকে টেনে এনে লুকাকুর জন্য বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন ডকু। বুটে-বলে সঠিক সংযোগ করলেই বদলাতে পারত স্কোরবোর্ড। বাহবা প্রাপ্য লিওনার্দো স্পিনাজ্জোলা, বনুচ্চি, কিয়েল্লিনিদের রক্ষণনৈপুণ্যতার। ৬১ মিনিটের এই ঘটনাই হতে পারে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণী। নিশ্চিত গোল ফস্কানোয় লুকাকোর বিস্ফারিত চোখে তাকানো, ডকুর হতাশা। তিরে এসে তরী ডুবি।