রাজ্যের ভোটের পর একাধিক বিজেপি কর্মীরা ঘরছাড়া হতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের ঘরে ফেরাতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে না রাজ্য। এই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। ফলে মানবাধিকার কমিশনের কমিটি গড়ে দেয় হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে মুখবন্ধ খামে সেই রিপোর্ট জমা দেয় কমিশন।
আর সেই রিপোর্ট পড়েই রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট। কমিশন জানিয়েছে, তাদের কোনও তথ্য দেয়নি রাজ্য সরকার। এই প্রশ্নে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বলেন, “আপনি বলেছিলেন কমিটির কাছে সমস্ত তথ্য সরবরাহ করবেন। কিন্তু আপনি তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।” একইসঙ্গে এই রিপোর্টের ভিত্তিতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
১. প্রত্যেকের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করতে হবে। সমস্ত ঘটনার যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শুরু করতে হবে।
২. ভোট পরবর্তী হিংসায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।
৩. মৃত অভিজিৎ সরকারের দেহ কলকাতা কমান্ড হাসপাতালে রাখতে হবে। দ্বিতীয় বার তাঁর দেহের ময়না তদন্ত করতে হবে ।
৪. যাদবপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের বাধার মুখে পড়তে হলো কেন? জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে কেন শোকজ করা হবে না তা জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে ।
৫.আহতদের রেশনের ব্যাবস্থা করতে হবে রাজ্যকে।
৬.আর যে যে অভিযোগ বিভিন্ন কমিটি বা আহতদের বাড়ির লোক করছে তা নথিভুক্ত করতে হবে পুলিশকে, অভিযোগ যা জমা পড়েছে বা পড়ছে তা জানাতে হবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে।
৭. রাজ্যের কাছে যা তথ্য আছে তা মুখ্যসচিবের দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে হবে।
যাদবপুরে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা দেখতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্যদের। তাই এই ঘটনায় ডিসিপি এস এসডি রশিদ মুনির খান কে শো-কজ করেছে বৃহত্তর বেঞ্চ।
আরও কয়েকটি জেলার এসপি ও পুলিশ কমিশনারদের শো-কজ করা হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৩ জুলাই।