উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তীরথ সিং রাওয়াত। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন মাত্র চার মাস আগে। শুক্রবার রাতে তিনি তাঁর পদত্যাগ পত্র তুলে দেন রাজ্যপালের হাতে।
সামনের বছরেই উত্তরাখণ্ডে ভোট। তার আগে এই সিদ্ধান্ত রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য বিবৃতিতে তীরথ সিং রাওয়াত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে আমার মনে হয়েছে পদত্যাগ করাই শ্রেয়। কোভিডের আবহে উপনির্বাচন হওয়াও সম্ভব নয়।’
এক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ হল, বিধানসভায় না জিতেই মুখ্যমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তীরথ সিং রাওয়াত। ঠিক যেমনটা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিয়ম হল, বিধানসভায় না জিতলে ছ’মাসের মধ্যেই উপনির্বাচনে জিতে আসতে হয়। সেই হিসেবে তীরথ সিং রাওয়াতের কাছে ছিল আর মাত্র ২ মাস। কোভিড আবহে উপনির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলে জল্পনাও ছিল তুঙ্গে। তার মাঝেই এই সিদ্ধান্ত।
গত তিন দিন ধরে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করেছেন তীরথ সিং রাওয়াত। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই এই ইস্তফা বলে মনে করা হচ্ছে।
তাহলে উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনে এবার কী হবে? শোনা যাচ্ছে, আজ শনিবারই রাজ্যের বিধায়করা বৈঠক করবেন। নতুন মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেবেন তাঁরাই।
কোভিড পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন আয়োজন করা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কঠিন। এমনিতেই মার্চ এপ্রিলে পাঁচ রাজ্যে দফায় দফায় ভোট করা নিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে কমিশন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার্তা দিতেই কি দু-মাস মেয়াদ বাকি থাকতে থাকতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দিল বিজেপি নেতৃত্ব? পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ তেমনটাই মনে করছে।