ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে পুলিসের জালে আরও এক। এবার গ্রেফতার হলেন অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু যথেচ্ছভাবে নীলবাতি ব্যবহার করা হচ্ছে কীভাবে? এখনও পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য। সিবিআই-কেও মামলায় যুক্ত করার আবেদন জানানো হল। পরবর্তী শুনানি সোমবার।
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দিয়ে যখন ২ দিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ, তখন সিবিআই তদন্তের দাবিতে আবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। বুধবার মামলাটির শুনানি ছিল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে।
আরও পড়ুন: অপদার্থ! TET মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নজিরবিহীন ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
স্রেফ ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডই নয়, রাজ্যে যথেচ্ছভাবে নীলবাতি ব্যবহার নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ। স্পষ্টতই বলা হয়, ‘রাজ্যে যথেচ্ছভাবে নীলবাতির ব্যবহার করা হচ্ছে। একজন আইপিএস অফিসার কীভাবে নীলবাতির গাড়ি ব্যবহার করছে, তা নিয়ে কি কারও মনে প্রশ্ন জাগেনি? দেবাঞ্জন রাজ্যের বহু নেতার সঙ্গে ছবি তুলেছে। পুলিস বা পুরসভার আধিকারিক কি কিছুই দেখতে পেলেন না’? সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘দেবাঞ্জন একজন ঠকবাজ। তিনি সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছবিগুলো তুলেছেন। সেই ছবি দেখিয়ে অনেককে ঠকিয়েছেন’। ‘একজন নিজেকে যুগ্ম কমিশনার পরিচয় দিয়ে নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলছে, আর সেটা প্রশাসনের নজরে পড়ল না’! সরকারি আইনজীবীর সওয়ালে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচাপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যে কীভাবে যথেচ্ছভাবে নীলবাতি ব্যবহার করা হচ্ছে? দেবাঞ্জন মামলায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করে হাইকোর্ট। এদিন সেই রিপোর্টও জমা পড়ল আদালতে।