সব ঠিক থাকলে জুলাই মাসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হবে। প্রথম ইনিংসে মোদির মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়েছিল এক বছরের মধ্যে। কোভিড পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বার সম্প্রসারণ কিছুটা পিছিয়ে যায়। কিন্তু এবার আর কাজ ফেলে রাখতে চান না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত কয়েকদিন তিনি শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে ম্যারাথন মিটিং করেছেন। ধরে ধরে পারফরম্যান্স বিচার করেছেন বর্তমান মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের। এবারের সম্প্রসারণে বাংলা থেকে কারা মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন, আপাতত জল্পনা এই নিয়েই।বিজেপি সূত্রের খবর, চলতি বছরের নভেম্বরে দিলীপ ঘোষের রাজ্য সভাপতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বাংলায় দলকে ৩ থেকে ৭৭ বিধায়কে পৌঁছে দেওয়ার পিছনে দিলীপ ঘোষের অবদান রয়েছে, তা মানেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বও। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে মুক্তকণ্ঠে তাঁর প্রশংসা করেছেন। কাজেই দিলীপ ঘোষ পুরস্কৃত হতে পারেন, জল্পনা এমনটাই।
আবার সামনে বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোট রয়েছে। বিজেপি ভোটের আগে মন্ত্রিসভায় তপশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত প্রতিনিধি তুলে আনতে চায় নিম্নবর্গের ভোটের দিকে নজর রেখে। এমনটাই তাঁদের সোশল ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল। এই কারণেই ত্রিপুরা থেকে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন প্রতিমা বিশ্বাস। উত্তর প্রদেশ থেকে উঠে আসতে পারেন কোনও অনগ্রসর সম্প্রদায় ভুক্ত নেতা।
এই পরিস্থিতিতে এক যাত্রা পৃথক ফল হবে না বাংলার ক্ষেত্রেও। বাংলায় এখন বড় ভোট নেই, তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ডিভিডেন্ট পেতে বিজেপি তুলে আনতে পারে নিম্নবর্গের কোনও নেতাকে।এক্ষেত্রে সবার প্রথম থাকবে মতুয়াদের প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুরের নাম। চর্চা রয়েছে নিশীথ প্রামানিককে নিয়েও। দিন দুয়েক আগেই তিনি দিল্লি গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রিসভায় অসম থেকে ঠাঁই পাবেন সর্বানন্দ সোনোয়াল, তা একরকম পাকা। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির জমি তৈরির কারিগর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে পারেন বলে গুঞ্জন রাজধানীতে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে বিজেপির ফোকাস বাংলা নয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব হয়ত বাংলাকে শূন্যহাতে ফেরাবেও না। কার গলায় জুটবে বিজয়ীর বরমাল্য, তাই নিয়েই এখন চর্চা বিজেপির অন্দর মহলে।