তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানই বলে বসলেন, ‘দল চালাতে গেলে টাকা নিতে হয়’

তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বারবার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও তা অস্বীকার করেছে শাসক দল। এবার গলসির গোহগ্রামে খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানই বলে বসলেন, ‘দল চালাতে গেলে টাকা নিতে হয়’।

স্থানীয় সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমানের গলসির গোহগ্রাম পঞ্চায়েতের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে কয়েকদিন ধরে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। গত ১৭ জুন ২০১৯–২০ এবং ২০২০–২১ অর্থবর্ষে ঢালাই রাস্তা, নর্দমা, পুকুরঘাট তৈরির টেন্ডার ডাকার বিষয়ে বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক করা হয় অনলাইনে টেন্ডার প্রক্রিয়া চালু করা হবে। কিন্তু টেন্ডার নোটিশ জারি করেননি পঞ্চায়েত প্রধান।

উপপ্রধান বিমল ভক্তর অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু ঘোষ সরকারি টেন্ডার অফ লাইনে করতে চাইছেন। তাঁর কথায়, ‘অফ লাইন টেন্ডার হলে কিছু নেতা সুবিধা পাবে। কিছু ঠিকাদার বিনা প্রতিযোগিতায় বরাত পেয়ে যাবেন। যেখান থেকে কিছু কাটমানি নেওয়া হবে। সেই টাকাতে নেতাদের পকেট ভরতে পারে। কিন্তু অনলাইনে করলে এসব করতে পারত না’।

এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান রিঙ্কু ঘোষ বলেন, ‘দল চালাতে টাকা নেওয়া হয়। সেটা সবাই জানে। নাহলে দল কীভাবে চলবে’। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এক্ষেত্রে সেটা কাটমানি নয়। ঘরের জন্য কারো কাছে দশ বিশ হাজার নিলে সেটাই কাটমানি। তাছাড়া কাজের গতি আনতে টেন্ডার প্রক্রিয়াকরণের জন্য আবার মিটিং ডাকা হয়। সেখানে আলোচনার সময় চেঁচামেচি হচ্ছিল। তবে অপ্রাসঙ্গিক কিছু ঘটনা ঘটেনি’।

প্রধানের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামন্নোয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘এত ছোট স্তরের বিষয়গুলো আমার কাছে আসে না। এগুলো সভাধিপতি বা জেলাশাসকের বিবেচনার ব্যাপার। তবে যদি কোনো অভিযোগ আসে তা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.