কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের নির্দেশ দিক। এই দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে রাজি হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্ট। আজ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। এছাড়াও বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসার মামলায় নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন উত্তরপ্রদেশের এক আইনজীবী।
বিজেপির অভিযোগ একুশের বিধানসভা ভোট ফল প্রকাশের দিন থেকেই পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা অবনতি হয়েছে। ভোট-পরবর্তী হিংসা মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। আর তার জন্য বারবার রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনজারির দাবি উঠেছে। কেন্দ্র যাতে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির নির্দেশ দেয়, সেই আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু করল সুপ্রিম কোর্ট।
ওই জনস্বার্থ মামলাটিতে পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পাশাপাশি রাজ্যে সামরিক বাহিনী অথবা আধা সেনা মোতায়েনের দাবি তোলা হয়েছে। মামলাকারীর তরফে বলা হয়েছে রাজ্যে শান্তি ও আভ্যন্তরীণ স্থিতাবস্থা ফেরাতে এটি খুব প্রয়োজন। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। তার জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আজকের শুনানিতে কেন্দ্র সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি বিনীত সারানের বেঞ্চ নোটিশ পাঠিয়েছে। তাতেই হিংসায় শিকার পরিবারগুলিকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য কেন্দ্র-রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার বিষয়ে সব পক্ষের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।
জিতেন্দ্র সিং নামে উত্তরপ্রদেশের এক আইনজীবী এই মামলাটি করেছেন। তার হয়ে আইনজীবী হরিশংকর এই মামলাটি শীর্ষ আদালতে লড়ছেন।
কেন্দ্র সরকার, রাজ্য সরকার ও জাতীয় নির্বাচন কমিশন ছাড়াও এ মামলায় চতুর্থ পার্টি হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট আজকের শুনানিতে তাঁকে কোনো নোটিশ পাঠায়নি।