ক্রমে আরও উষ্ণ হচ্ছে মেরু অঞ্চল। গত বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখে অ্যান্টার্কটিকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা রেকর্ড। এর আগে এই অঞ্চলে এতটা তাপমাত্রা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়নি।
আর্জেন্টিনায় অবস্থিত গবেষণাকেন্দ্র এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছে। সে কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। উদ্বেগও প্রকাশ করেছে সংস্থার পক্ষ থেকে। বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধ করার ক্ষেত্রে বরফে মোড়া পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চল মুখ্য ভূমিকা পালন করে। সেখানে এই হারে উষ্ণতা বৃদ্ধি নানা দিক থেকে পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক আবহাওয়া অফিসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই উষ্ণতা বৃদ্ধি পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের দিকটি বুঝতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি, বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের শেষ অস্ত্র এই মেরু অঞ্চলের পরিস্থিতি কী রয়েছে, তা বুঝতেও সাহায্য করবে।
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন
কলকাতায় ৯৯ পার করে ‘সেঞ্চুরি’র দোরগোড়ায় পেট্রল, রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে ৮৬১
আরও পড়ুন
দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর সঙ্গে রাজ্যপাল-যোগ নিয়ে অভিযোগের পরেই গ্রেফতার অরবিন্দ
২০১৫ সালের ২৪ মার্চ এই একই আবহাওয়া অফিস থেকে অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৭.৫ ডিগ্রি। এর আগে সেটিই ছিল সর্বোচ্চ। তবে বৃহত্তর অ্যান্টার্কটিকার ক্ষেত্রে ১৯৮২ সালের ৩০ জানুয়ারি ১৯.৮৩ ডিগ্রি উষ্ণতা রেকর্ড করা হয়, যা সর্বোচ্চ।
আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, পৃথিবী তাপমাত্রা ১৯ শতকের পর থেকে গড়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বেড়েছে খরা, সমুদ্রের ঢেউ শক্তিশালী হয়েছে। ঝড় তৈরি হয়েছে। কিন্তু অ্যান্টার্কটিকার বায়ুর উষ্ণতা এর দ্বিগুণ হারে বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
তাঁদের আশঙ্কা, এই অংশে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস গড় উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পশ্চিম অ্যান্টার্কটিক ও গ্রিনল্যান্ডে যে পরিমাণ বরফ গলবে তাতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে পারে অনেকটাই। তাতে বিপদ আরও বাড়বে।