রাজ্যে করোনার সংক্রমণের গতি এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। আর সেই কারণে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিধিনিষেধের মেয়াদ কিছুটা বাড়ানো হলেও অনেক ক্ষেত্রেই ছাড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্রেন ও মেট্রো চলার অনুমতি না দিলেও আজ থেকে সরকারি ও বেসরকারি বাস চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই মতো সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় বাসের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। যদিও সেই বাসের সংখ্যা খুবই কম বলে জানিয়েছেন নিত্য যাত্রীরা। আর সেই কারণে সকালে অফিসে যেতে গিয়ে রীতিমতো ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এদিকে কম বাস চলায় বাসগুলিতে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শিকেয় উঠেছে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ।
বাস চলাচলের উপর ছাড় দিলেও সকাল থেকেই রাস্তায় বাসের সংখ্যা খুবই কম। আর যে কয়েকটা বাস চলছে সেখানে তিল ধারণের জায়গা নেই। তাই বিভিন্ন জায়গাতে ভোগান্তির শিকার হন নিত্য যাত্রীরা। বাস না পেয়ে কোথাও যাত্রীদের অনেক বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
যেমন সকাল থেকে হাওড়া বাস টার্মিনালে বাস প্রায় নেই বললেই চলে। আর তার জেরে ভোগান্তি অফিস যাত্রীদের। হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি বাস রাস্তায় নামলেও সব বাস এখনও রাস্তায় নামাননি বেসরকারি বাসের মালিকেরা। গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য রীতিমতো ঠাসাঠাসি করে বাসে চড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর অনুমতি দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু, রাস্তায় বাসের আকাল থাকার ফলে শিকেয় উঠেছে করোনা বিধি।
রুবি মোড়ের বাসস্ট্যান্ডে কয়েকটি বেসরকারি বাসের দেখা মিললেও বাসের ভিতরে পা রাখার জায়গা নেই। নিত্যযাত্রীদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন যে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করেও তাঁরা বাসের দেখা পাচ্ছেন না। আর যে বাসই আসছে সেখানে তিল ধারণের জায়গা নেই। রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গাতেই একই ছবি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত রাজ্যে ১৬ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি থাকলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলার কোথাও ঘোষণা করা হয়। আর অফিসে যাতায়াতের জন্য সরকারি ও বেসরকারি বাস চালু করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও লোকাল ট্রেন ও মেট্রো চালানোর বিষয়ে অনুমতি দেননি তিনি। এদিকে ট্রেন পরিষেবা চালু করার বিষয়ে রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে রেল। এদিকে দু-একদিন অন্তর তেলের দাম বাড়তে থাকায় বাসের ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বেসরকারি বাস মালিকরা। যার জেরে এখন রাস্তায় হাতে গোনা বেসরকারি বাসের দেখা পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে সরকারি বাস চালু হলেও তার সংখ্যা এতটাই কম যে সেই বাসে চড়ে সঠিক সময়ে অফিসে হাজিরা দিয়ে সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। এর ফলে ১ জুলাই সকাল থেকেই চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা।