ভোট-পরবর্তী হিংসা অব্যাহত সাগর বিধানসভা কেন্দ্রে। সাগর থানা থেকে মাত্র ২ মিনিট দূরে বিজেপি করার অপরাধে এক বিজেপি কর্মী সুরজিৎ আচার্যের দোকান ঘর দখল করতে যায় তৃণমূলের বর্তমান সাগরের জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য সন্দীপ পাত্রের বাবা প্রাক্তন অঞ্চল প্রধান অমরেন্দ্রনাথ পাত্র।সুরজিৎ আচার্যের স্ত্রী, অমরেন্দ্রনাথ বাবু কে দোকান দখল করতে বাধা দেওয়ায় প্রকাশ্য রাস্তায় চুলের মুঠি ধরে মারধর করেন। শাড়ি টেনে ধরে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা তীব্র সমালোচনা করেন।
এমনই এক হিংসাত্মক পরিস্থিতির সাক্ষী রইল সাগরের খুদি গুড়িয়া পোল এলাকার মানুষ। অভিযোগ, তৃণমুল সাগরের খুদি গুড়িয়া পোল এলাকায় দীর্ঘদিন দোকান খুলতে দেয় নি সাগরের খুদ গুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ আচার্যকে। তিনি হঠাৎ আজ খবর পান কিছু লোকজন নিয়ে তার দোকান দখল নিতে গিয়েছেন। ওই এলাকার দায়িত্বে বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের সদস্য সন্দীপ পাত্রের বাবা রুদ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান অমরেন্দ্রনাথ পাত্র। রুজিরুটির একমাত্র পথ দোকান বাঁচাতেই ছুটে যান সুরজিৎ। তাঁর সঙ্গে সঙ্গেই দোকানে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী মধুরিমা। তখনই তাঁর স্ত্রীকে মারধার করা হয়। স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোদ উঠেছে।
সুরজিৎ বাবুর অভিযোগ সেই সময় অমরেন্দ্রনাথ পাত্র প্রকাশ্য রাস্তায় ওই মহিলাকে চুলের টিকি ধরে মারতে থাকে এবং চুলের টিকি ধরে টেনে নিয়ে মারতে থাকেন অমরেন্দ্রনাথ পাত্র। বোনের এই অবস্থা দেখে ছুটে আসেন মধুরিমা আচার্যের দিদি শর্মিষ্ঠা। দুই বোনকে ও মারধর করে অমরেন্দ্রনাথ পাত্র। অভিযোগ সুরজিৎ পাত্রের । প্রকাশ্যে রাস্তায় নিজেদের কে বাঁচাতে পালটা হাত তোলে ওই মহিলা। মধুরিমা পাত্র এবং শর্মিষ্ঠা মিদ্দাকে দোকানের ভিতর দিয়ে বাইরে থেকে তালা দেওয়ার চেষ্টা করে। এখানেই শেষ নয়। গোটা পরিবারকে সাগর থেকে উৎখাত করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এমনও অভিযোগ আক্রান্ত পরিবারের। পরে জোর করে দোকানে তালা মেরে দেন প্রাক্তন প্রধান।
ঘটনাটি অনভিপ্রেত বলে জানিয়েছেন সাগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। তিনি আরও বলেছেন এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। জমি দখলকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বলেছেন, একটা সময় সুরজিৎ ও তাঁর স্ত্রী অপরেন্দ্র পাত্র অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিল। কিন্তু তাঁরা বিজেপি করার পর থেকেই দুই পরিবারের মধ্য ফাটল দেখা দেয়। মহিলারও অমরেন্দ্রকে মারধর করে বলে অভিযোগ তাঁর।