ভুয়া ভ্যকসিন কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় সমগ্র দেশ। কলকাতার এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও। আর ওই ঘটনাতেই এবার নাম জড়িয়ে গেল তৃণমূলের এক রাজ্যসভার সাংসদের। তাঁকে তলব করেছে পুলিশ।
কসবায় টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেছিল ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব। পরে জানা যায় শিবির থেকে দেওয়া ভ্যাকসিন ছিল ভুয়ো। কসবার আগে উত্তর কলকাতাতেও একই উপায়ে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। কসবায় সাংসদ মিমি চক্রর্তী ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে সন্দেহ প্রকাশ করায় সমগ্র বিষয়টি সকলের গোচরে আসে।
ওই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক টানাপড়েন। ভুয়ো আইএএস আধিকারিক নিজেকে পুরসভার পদস্থ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে জালিয়াতি করে গেল অথচ কেউ টের পেল না? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন। পুলিশকেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আর সেই পথে হেঁটেই দেখা গেল চমক। পুলিশের তদন্তে যেন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এল কেউটে। ভুয়ো ভ্যকসিন কাণ্ডে নাম জড়িয়ে গেল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেনের। সূত্রের খবর, তাঁকে তলব করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ওই চিকিৎসক সাংসদকে ভবানীভবনে তলব করা হয়েছে।
চিকিৎসক শান্তনু সেন তৃণমূলের টিকিটে জিতে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর হয়েছিলেন। তারপরে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান মমতা। চিকিৎসক হওয়ার সুবাদে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন(IMA)-র সভাপতির পদে আসীন ছিলেন তিনি। এই মুহূর্তে ওই সংস্থার স্টেট জেনারেল সেক্রেটারি তৃণমূলের রাজ্যসভার এই সাংসদ।
জানা গিয়েছে, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব-র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল এই চিকিৎসক সাংসদের। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে শান্তনু সেনের সঙ্গে হাজির থাকতেন দেবাঞ্জন। যার কারণেই পুলিশের সন্দেহের তীর গিয়েছে ওই সাংসদের প্রতি।
এই প্রসঙ্গে আরও একটি বিষয় উঠে আসছে। সেটি হল- চিকিৎসক শান্তনু সেন-র স্ত্রী একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে জড়িত। ‘আলোর দিশা’ নামক ওই সংস্থা অতিমারির সময়ে বিভিন্ন জায়গায় মাস্ক-স্যানিটাইজার বিলি করেছে। ওই একই প্রকারের কাজ করেছিল দেবাঞ্জন। সেই কারণে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ক্রিয়াকলাপ নিয়ে সেই কারণে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সেই সংস্থা এবং তার সদস্যদের তদন্তের অধীনে নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।
খাস খবর