নন্দীগ্রামে ভোট গড়মিলের অভিযোগ মিথ্যা, ভুয়ো নিউজ ছড়িয়েছে ২৪ ঘণ্টা! বিস্ফোরক শুভেন্দু

একুশের নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম (Nandigram)। লড়াইটা ছিল তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বনাম বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মধ্যে। তবে নির্বাচনের পর নন্দীগ্রাম মামলায় সম্প্রতি সময়ে রেয়াপাড়ার এস এন রায় স্কুলের বুথের গরমিলের হিসেব সামনে আসতেই তোলপাড় শুরু হয় বঙ্গ রাজনীতিতে।

বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশে জানা যায়, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিতিতে বাংলার মসনদে আবারও ফেরে তৃণমূল। তবে তৃণমূল নির্বাচনে জয়ী হলেও, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১৯৫৬ ভোটে পরাজিত হন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এই ফল কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না সবুজ শিবির

প্রথমদিকে অবশ্য বলা হয়েছিল, ১২০০ ভোটে জিতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরবর্তীতে সন্ধ্যের দিকে রিটার্নিং অফিসার ঘোষণা করেন, জয় হয়েছে শুভেন্দু অধিরকারির। কিন্তু নির্বাচনের এই ফল মেনে নিতে পারেনি তৃণমূল শিবির। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, ‘সমগ্র রাজ্যের থেকে আলাদা ফল হয়েছে নন্দীগ্রামে। এটা কখনই হতে পারে না, আদালতে যাব আমি। খবর আছে, ফল ঘোষণার পর কারচুপি হয়েছে। আর সেটা ঠিকই খুঁজে বের করব’।

সেইমতই নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সম্প্রতি সময় প্রকাশে এসেছে, নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার এস এন রায় স্কুলের বুথের মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৬৭৬। কিন্তু ‘অ্যাকাউন্ট অব ভোটস রেকর্ডেড’ স্পষ্ট লেখা রয়েছে ভোট পড়েছে ৭৯৯। যা আবারও নন্দীগ্রামের ভোটগণনায় গরমিলের অভিযোগকে স্পষ্ট করছে। তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সবকিছু দেখে শুনেও প্রিসাইডিং অফিসার কিভবে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন ফর্ম ১৭ সি-তে? তাঁর চোখে কি কিছুই পড়েনি?

তবে এবিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ‘এভাবে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। রেয়াপাড়ার এস এন রায় স্কুলের বুথের ভোটার সংখ্যা ৭৯৯ এবং সেখানে ভোট পড়েছে ৬৭৬টি’। উল্লেখ্য, ২৪ ঘণ্টার খবরের ভিত্তিতে আমরাও সেই খবর প্রকাশিত করি। আর তাঁর জন্য আমরা ক্ষমাপার্থী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.