কসবার ভ্যাকসিন-কাণ্ড নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তোলা অভিযোগের বিষয়ে রাজ্য সরকারের জবাব তলব করল কেন্দ্রীয় সরকার। দিন কয়েক আগে ভ্যাকসিন-কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে লেখা চিঠিতে রাজ্য প্রশাসন এবং তৃণমূলের কয়েকজন নেতার নাম করে নালিশ ঠোকেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার অভিযোগের বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে কসবার জাল টিকা নিয়ে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে জানাতে বলেছেন তিনি।
শুভেন্দু কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ভ্যাকসিন-কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি জানিয়েছিলেন। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লেখা কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসচিবের মঙ্গলবারের চিঠিতে অবশ্য সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ নেই। তবে শুভেন্দুর চিঠির কপিও মুখ্যসচিবকে পাঠিয়েছেন ভূষণ। মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের ভার দেওয়ার ব্যাপারে দিল্লি এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। রাজ্য সরকারের পদক্ষেপগুলি পর্যালোচনার পাশাপাশি রাজ্যের শাসক শিবিরের সঙ্গে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের যোগাযোগের বিষয়টি আরও সময় নিয়ে খতিয়ে দেখে নিয়ে চায় দিল্লি।
তবে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসচিব কসবার ঘটনা নিয়ে দিল্লির অসন্তোষ এবং কড়া মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সরাসরি আঙুল না তুললেও রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কোভিড ভ্যাকসিন ক্যাম্প করার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে পাঠানো কেন্দ্রের পরামর্শগুলি স্মরণ করিয়ে দিয়ে। তিনি লিখেছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সার্টিফিকেট না পাওয়ার অভিযোগ গুরুতর।
প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, দিল্লি চাইলে ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির তদন্তভার গোড়া থেকেই কেন্দ্রীয় কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে দিতে পারত। কারণ দেশে এখন মহামারী প্রতিরোধ এবং দুর্যোগ মোকাবিলা আইন বলবৎ রয়েছে। ওই দুই আইন বলে করোনা প্রতিরোধের কাজে অনিয়মের ঘটনায় দিল্লি সরাসরি নাক গলাতে পারে।