অরুণাচলের চিন সীমান্তে সেনাকার্যে ব্যবহৃত সেতু ভেঙে ভরা নদীতে, ট্রাক সহ নিখোঁজ তিন আরোহী

 অরুণাচল প্রদশের ভারত-চিন সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাকার্যে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ একটি লোহার সেতু ভেঙে ভরা নদীতে পড়েছে। এই পণ্যবাহী একটি ট্রাকও নদীর জলে পড়ে গেছে। দুর্ঘটনায় চালক সহ ট্রাকের তিন আরোহী নিখোঁজ হয়ে গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, জলের তোড়ে ট্রাক সহ তাঁরা সকলেই ভাটির দিকে ভেসে গেছেন। এদিকে নিখোঁজদের উদ্ধারে নামানো হয়েছে এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ। লোহার সেতু ভেঙে যাওয়ায় আপার সিয়াং এবং সিয়াং জেলা দেশের অন্য অংশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই সেতু আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনাবাহিনীর যাতায়াতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
সিয়াঙের জেলাশাসক এ তায়েঙ জানান, গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের দরুন রাজ্যের বিভিন্ন পাহাড়ি নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। সব নদীতে বইছে প্রচণ্ড স্রোত। এমতাবস্থায় আজ মঙ্গলবার সকাল প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ আপার সিয়াং এবং সিয়াং জেলার সংযোগ রক্ষাকারী এই লোহার সেতু হঠাৎ হুড়মুড় করে নদীতে ভেঙে পড়ে। সে সময় একটি পণ্যবাহী ট্রাকও সেতুর ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জেলাশাসক জানান, ট্রাক সমেত চালক সহ তিনজন সেতু ভেঙে ভরা স্রোতস্বিনী নদীতে পড়ে হারিয়ে যান। পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জেলাশাসক বলেন, ট্রাকে যে তিন আরোহী ছিলেন তাঁদের যথাক্রমে রাহুল তামাং (২২, রঞ্জিত সূত্রধর (২১) এবং মিথিঙ্গা বড়ো (১৯) বলে পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের উদ্ধার করতে সঙ্গে সঙ্গে এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ-এর জওয়ানদের নিয়ে জেলার সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। 
সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সিয়াং জেলার সঙ্গে গোটা রাজ্য তথা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঘটে গেছে। কবে নাগাদ সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা সম্ভব হবে তা এখনই বলতে পারেননি জেলাশাসক এ তায়েঙ। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে নতুন সেতু তৈরি করে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টায় সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সরকার নেমে পড়েছে, জানান তিনি।
এদিকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে জানা গেছে, সেতুটি যখন হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ছিল, তথন তার ওপর পাথর বোঝাই একটি ট্রাক যচ্ছিল। ট্রাকে চালক সহ তিনজন ছিলেন বলে দেখেছেন তাঁরা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.