আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে কার্যকর করতে হবে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প । ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প চালুর জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মঙ্গলবার এই নির্দেশই দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এবিষয়ে বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে।
মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত এক নির্দেশিকায় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’-এর কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে অনলাইন পোর্টাল চালু করুক কেন্দ্র। তাতে প্রত্যেকের রেজিস্ট্রেশন থাকা চাই। বিশেষ করে অসংগঠিত ও পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই তথ্যগুলি যাতে নির্ভুলভাবে নথিভুক্ত করা হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে কেন্দ্রকে। গোটা কাজ শেষ করতে ৩১ জুলাই পর্যন্তই সময়। তারপরই যাতে গোটা দেশে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ চালু হয়ে যায়, তা নিয়ে কড়া নির্দেশ রয়েছে শীর্ষ আদালতের।
পরিসংখ্যান মতে, দেশের ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড’ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। শুধুমাত্র দিল্লি, অসম ও পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প এখনও চালু হয়নি। তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে নির্দেশও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র সরকারের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ৯৬ শতাংশ রেশন দোকানে ই-পিওএস (ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেল) যন্ত্র বসে গিয়েছে। এই যন্ত্রে রেশন কার্ডের আসল মালিকই চাল-গম নিতে এসেছেন কি না, তা চিহ্নিত করা যায়। ৮০ শতাংশ রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণও হয়ে গিয়েছে। ফলে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প চালু করতে কোনও বাধা নেই।
বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রকল্প চালু হলে পরিযায়ী শ্রমিকদের আরও সুবিধা হবে। কারণ, এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার কোনও পরিযায়ী শ্রমিক দেশের অন্য যে কোনও রাজ্যে নিজের অংশের রেশন তুলতে পারবেন। ফলে খাদ্যবণ্টন প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে যাবে। এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা লাভবান হবেন।