‘জয় শ্রীরামে’ই তাঁর আপত্তি৷ বঙ্গ রাজনীতির জমি পোক্ত করতে সেই ধবনিতেই আবার আস্থা বিজেপির৷ গেরুয়া দল মনে করে রামের মধ্যেই জগন্নাথের অবস্থান৷ তাই মাহেশের রথযাত্রা উদ্বোধনে যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হতে পারে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে৷
মুখ্যমন্ত্রীর মাহেশ সফরকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা তুঙ্গে৷ মন্দির কমিটির প্রস্তুতি প্রায় চূ়ড়ান্ত৷ আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা মোড়া থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর রথ উদ্বোধনের অনুষ্ঠান৷ তারই মাঝে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শোনাতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পদ্ম শিবিরের নেতা, কর্মীরা৷
কিন্তু, জগন্নাথের রথযাত্রায় কেন হঠাৎ রামের নাম? বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ‘‘রাম-জগন্নাথ তো আলাদা কিছু নয়। শ্রীকৃষ্ণ-ই বিভিন্ন সময়ে অবতারে অবতীর্ণ হয়েছেন। তাই জগন্নাথের রথযাত্রায় ‘জয় শ্রী রাম’ বলা যেতেই পারে।’’ জবাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, ‘‘রামকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। রথের দিন জয় জগন্নাথ সবাই বলে। কেউ জয় শ্রী রাম বলে না। জয় শ্রী রাম রামনবমীর দিন বলা হয়৷’’
রামকে নিয়ে টানাপোড়েন! রাম নিয়েই কী তাহলে শাসক বিরোধী বচসার অপেক্ষায় রথের মাহেশ? ভোটের আগে বা পরে৷ বিজেপি কর্মীদের ‘রাম’ নামে বেজায় চটেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ গাড়ি থেকে নেমে রাম নাম করায় তীব্র ভর্ৎসনা করেন৷ ‘জয় শ্রীরাম’কে গালাগাল বলেও আ্যাখ্যায়িত করেন তিনি৷ প্রতিবাদে মুখর হয় বিজেপি৷ তারপর ‘জয় শ্রীরাম’ নিয়ে নিজেই অবস্থান স্পষ্ট করেন ফেসবুকে৷
কিন্তু, বিজেপির ব্যাখ্যা অন্য৷ মমতার কথায় হিন্দুদের দেবতাকে অপমান করা হচ্ছে বলে মনে করে গেরুয়া শিবির৷ যা নিয়ে তারা প্রচারও করছে জোর কদমে৷ তরজায় বিজেপি তৃণমূল৷ যা আরও গাড় করতে লক্ষ্মীবারে মাহেশের রথকেই বেছে নিতে মরিয়া পদ্ম শিবির৷