“তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ভুয়া টিকাকরণ কেলেঙ্কারির যোগ রয়েছে” সরব বাবুল ও লকেট

কসবার ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ড নিয়ে এবার রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তার প্রশ্ন, তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক না থাকলে কি এই ধরনের কেলেঙ্কারি আদৌ ঘটানো যায়? গোটা ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। একই বিষয়ে সরব হয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যে কত টিকা এসেছে, কোন কেন্দ্রে সেগুলি পাঠানো হয়েছে। তার হিসাব জানতে চেয়ে সরকারের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলেছেন তিনি।

কসবায় দশদিন ধরে একটি ভুয়ো টিকাকরণ শিবির চালানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই শিবিরে ভুয়ো টিকা নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিনেত্রী মিমিও। দেবাঞ্জন ছাড়াও শান্তনু মান্না নামে তার আরও এক সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে।

এই ভুয়ো টিকাকরণ কান্ড প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি নেতারা। অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। বিজেপি অভিযোগ করেছে, পশ্চিমবঙ্গের যুগ্মসচিব পরিচয় দেওয়া দেবাঞ্জন কি ভাবে এই কাজ চালিয়ে গেছে?

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় টুইটারে লিখেছেন, “তৃণমূলের বড় বড় মাথাদের সঙ্গে দহরম-মহরম না থাকলে এত বড় কেলেঙ্কারি ঘটানো যায় না। এটা আবার বলতে হবে?” নিজের টুইটে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছেন তিনি। তার দাবি, কোনও রকম বৈষম্য ছাড়াই গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা দরকার। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।

লকেট চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনার প্রতিবাদে চুঁচুড়ায় কালা দিবস পালন করে অবস্থান ধর্নায় যোগ দেন। তার কথায়,”হাজার হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তাদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে। টিকাকরণের পর তাদের যদি কিছু হয় তার দায়িত্ব কি রাজ্য সরকার নেবে?” তিনি দাবি করেছেন, আরটিআই করে সরকার কত ভ্যাকসিন পেয়েছে তা ও কোথায় কোথায় বিলি হয়েছে তা জানবেন। লকেট বলেন, “এই ঘটনার পেছনে কার মাথা রয়েছে তা খুঁজে বার করা দরকার। ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতি চলছে, ভ্যাকসিনের বদলে বিষ বা অন্য কিছু দিয়ে দেওয়া হচ্ছে কিনা তাও তদন্ত করা উচিত।” তার কথায়, “দেখা যাবে এই দেবাঞ্জন দেব সুদীপ্ত সেনের মতই আরও একটা বলির পাঁঠা হবে। আসলে কেন্দ্র সরকারকে টিকা নিয়ে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত করা দরকার।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.