নতুন ত্রাস হয়ে ধরা দিয়েছে নোভেল করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্লাস প্রজাতি। তাই সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল মহারাষ্ট্র সরকার। বরং নতুন করে ত্রিস্তরীয় বিধিনিষেধক কার্যকর করর নির্দেশ দেওয়া হল জেলা প্রশাসনকে। করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে সংক্রমিত এক বৃদ্ধার মৃত্যুর পরই এমন নির্দেশ দিল উদ্ধব ঠাকরে সরকার।
শুক্রবার মহারাষ্ট্রে প্রথম বার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ঘটেছে। রত্নগিরি জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ডেল্টা প্লাস আক্রান্ত এক বৃদ্ধার। তার পরই রাজ্যের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, সমস্ত জেলাগুলিকে ত্রিস্তরীয় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে হবে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব সীতারাম কুন্তে লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী, কোভিড যে ভাবে চরিত্রবদল করছে, তাতে সংক্রমণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পাওয়ার সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে। তাই সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার যতই কম হোক, হাসপাতালে শয্যার অভাব না থাকুক, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ত্রিস্তরীয় বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।’
এই ত্রিস্তরীয় বিধিনিষেধের আওতায় রেস্তরাঁ, শরীরচর্চা কেন্দ্র, স্যালোঁ, স্পা বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ৫০ শতাংশ গ্রাহকের প্রবেশে অনুমতি রয়েছে। বেসরকারি দফতরগুলিকেও ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। বিয়েবাড়ি, শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি অতিথি নিষিদ্ধ। শপিংমল, থিয়েটার আগের মতোই বন্ধ থাকবে।
করোনার ডেল্টা এবং ডেল্টা প্লাস প্রজাতিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এই প্রজাতি অনেক বেশি সংক্রামক এবং অত্যন্ত দ্রুত ফুসফুসকে কাবু করে নেয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অ্যান্টিবডিও এর বিরুদ্ধে দুর্বল হয়ে পড়ে। মহবারাষ্ট্রের একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রোগীর শরীরে ডেল্টা প্লাস প্রজাতি ধরা পড়েছে। তাই আরটিপিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে আগামী দু’সপ্তাহ সংক্রমণের হারের উপর নজর রাখতে হবে। সেই বুঝে বিধিনিষেধ নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। জেলা প্রশাসনকে যত দ্রুত সম্ভব ৭০ শতাংশ নাগরিকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করে ফেলতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।