ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) এখনও ক্রিপ্টোকারেন্সিকে (Cryptocurrency) আইনী স্বীকৃতি দেয়নি। তা সত্ত্বেও ডিজিট্যাল এই মুদ্রার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। দিন দিন বাড়ছে বিনিয়োগের পরিমানও। লোভনীয় এই ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবসায় গোটা বিশ্বের লোক নিজের ভাগ্য বিচার করার চেষ্টা করছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যারা বিনিয়োগ করছে তারা জানেই না, ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ট্যাক্সের (Tax) নিয়মগুলো।
ক্রিপ্টোকারেন্সির আইনী স্বীকৃতি না থাকায় আয়কর বিভাগও (Income tax Dept) কর সংক্রান্ত বিধি সম্পর্কে কিছু বলছে না। তবে, ট্যাক্স বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের পর উপার্জিত অর্থের উপর আয়কর বসবে না, এই ধারণাটি যেন একেবারেই মাথায় যেন না নিয়ে আসে বিনিয়োগকারীরা। ট্যাক্স বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়কর আইন অনুযায়ী যে আয়কে ছাড় দেওয়া হয়েছে তা বাদ দিয়ে প্রতিটি ধরণের আয়, করের আওতায় আসে। সেই হিসাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে উপার্জিত আয়টিও করের আওতায় আসে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের প্রকৃতি মাথায় রেখে উপার্জনের উপর ট্যাক্স দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোন বিনিয়োগকারী যদি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করেন তবে সেখান থেকে উপার্জিত আয়ের উপর ট্যাক্স জমা দিতে হবে। কোনও বিনিয়োগকারী যদি ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবসায় বিনিয়োগ করে এবং তিন বছরের মধ্যে তা থেকে উপার্জিত অর্থ, স্বল্পমেয়াদী মূলধন লাভের ট্যাক্সের আওতায় আসে। এই স্বল্পমেয়াদী মূলধন ট্যাক্সের (Short-term capital gain tax)-এর পরিমান ১৫ শতাংশ। তিন বছর পর সেটি দীর্ঘমেয়াদী মূলধন ট্যাক্সের আওতায় চলে আসবে। তখন ট্যাক্সের পরিমান দাঁড়াবে ২০ শতাংশ। তবে বিনিয়োগকারীরা indexation এর সুবিধা পাবেন। যদি কোনো বিনিয়োগকারী এই ভার্চুয়াল মুদ্রায় বিনিয়োগ করেন তবে মূলধন লাভের ভিত্তিতে ট্যাক্স জমা দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আইনী স্বীকৃতি না দিলেও ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন ভারতে অবৈধ নয়। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের প্রমাণ করতে হবে যে, এর মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ ব্যবসার মাধ্যমে লাভ হয়েছে নাকি সম্পদ হিসাবে কাছে আছে। বিশেষজ্ঞরা আরও পরামর্শ দিচ্ছেন যে এ থেকে প্রাপ্ত আয়কে অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত আয় হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে এবং সেই অনুযায়ী ট্যাক্স জমা করা যেতে পারে।