আর দিন সাতেক পরেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা বাড়তে চলেছে। সূত্রের খবর এই মহার্ঘ্য ভাতা ১৭% থেকে বেড়ে ২৮% শতাংশ হতে পারে। এখন প্রশ্ন একটাই, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বকেয়া বা এরিয়ার পাবেন কিনা বা পেলেও কতটাকা পাবেন। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ২৬ জুন শনিবার বৈঠকে বসছে অর্থমন্ত্রক, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জয়েন্ট মেশিনারি এবং কর্মীবর্গ মন্ত্রক। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মহার্ঘ্য ভাতা বকেয়া রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের। এক বছরের বেশি সময়ের এই বকেয়া টাকা তাঁরা এরিয়ার হিসেবে পাবেন কিনা তা জানা যাবে এই বৈঠকের পরে।
গত বছর করোনা অতিমারীর প্রকোপের কারণেই সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে প্রথমেই সরকারের তরফে জানানো হয় জুলাই মাসে বর্ধিত হারে নয়া ডিএ চালু করে দেওয়া হবে। তবে বিভ্রান্তি তৈরি হয় বকেয়া টাকা নিয়ে। অর্থমন্ত্রক বলছে, ডিএ স্থগিত রাখার সময় বলে দেওয়া হয়েছিল গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত তিন দফায় যে পরিমাণ ডিএ বাড়ার কথা তা যোগ করেই নতুন ভাতা ধার্য করা হয়েছে।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জয়েন্ট কনসাল্টিং মেশিনারির তরফে সেক্রেটারি স্টাফ শিব গোপাল মিশ্র বুঝিয়ে দিলেন কী ভাবে বকেয়া এরিয়ার গোনা হতে পারে। তাঁর কথায়, লেভেল ১ কর্মচারীরা ১১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকা পেতে পারেন। এই ভাবে লেভেল ১৪ কর্মীরা এরিয়ার হিসেবে ১ লাখ ৪৪ হাজার ২২০ টাকা থেকে ২ লাখ ১৮ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারে।
এই টাকা দেওয়া হবে সপ্তম পে কমিশনের শর্ত অনুযায়ী, তিন ধাপে। সূত্রের খবর জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর এই তিন মাস ধরে এরিয়ার দেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে জানা যাচ্ছে হয়তো জুন ২০২১ -এর ডিএ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এর মধ্যে দেওয়া হতে পারে, এ বিষয়েও কেন্দ্র শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানাবে।
সপ্তম পে কমিশনের একজন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর ন্যূনতম বেতন ধার্য ছিল ১৮ হাজার টাকা। শর্তানুযায়ী মূল বেতনের ১৫% ডিএ হিসেবে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর জুন ২০২০-র জন্য ৪% ডিএ বাড়াতে পারে কেন্দ্র।