করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third Covid Wave) রুখতে বিশেষ পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। এবার ১২ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের সংক্রমণ ঠেকাতে মায়েদের ভ্যাকসিনেশনে (Vaccination) জোর দেওয়া হল।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (Second Covid Wave) এর ধাক্কা ধীরে ধীরে সামলে উঠছে দেশ। কিন্তু তাতেও রেহাই নেই। অশনি সংকেত দেখাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। অনুমান করা হচ্ছে দেড়-দু’মাসের মধ্যে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১২ বছর বয়সী শিশুরা মায়েদের সঙ্গে থাকে। মায়েরাই তাদের দেখভাল করে। যাতে মায়েদের থেকে শিশুদের করোনা না ছড়ায় তাই এবার মায়েদের গুরুত্ব দিয়ে ভ্যাকসিনেশন করা হবে।”
আরও বেশকিছু পদক্ষেপ করছে রাজ্য। জানা গিয়েছে, পেডিয়াট্রিক বেড বাড়ানো হচ্ছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মেডিক্যাল কলেজে পেডিয়াট্রিক কেয়ার বৃদ্ধি। এছাড়াও, জুলাইয়ের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৩০০টি পেডিয়াট্রিক আইসিইউ ও সরকারি হাসপাতালে ৩৫০টি এসএনসিইউ তৈরি হবে।
সরকারি হাসপাতালে ১০ হাজার শয্যা বাড়ানো হবে।
তৃতীয় ঢেউ রুখতে ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এই কমিটিতে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার, যকৃৎ সংক্রান্ত রোগ বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। রাজ্য করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় চিকিৎসা এবং হাসপাতাল পরিকাঠামো বাড়াতে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে তা ঠিক করবে এই কমিটি। এই কমিটিতে রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক জিকে ঢালি, অভিজিৎ চৌধুরী, সৌমিত্র ঘোষ-সহ পাঁচ চিকিৎসক। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায় এবং বিভূতি সাহা। বিসি রায় শিশু হাসপাতালের প্রিন্সিপাল চিকিৎসক দিলীপ পাল। আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক জ্যোতির্ময় পাল।
এদিন মমতা বলেন, করোনা ভ্যাকসিনের ২ কোটি ডোজ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ৩৩ লক্ষ সুপার স্প্রেডারকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ৪ লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন ইস্যুতে মোদী সরকারকে ফের তোপ দেগে এদিন মমতা বলেন , কেন্দ্র থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন পেলে, বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া যেত। তিনি বলেন, আমরা ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। ৩ কোটি ভ্যাকসিন পেলে আমরা ২ কোটি ভ্যাকসিন নিতাম, ১ কোটি ভ্যাকসিন বেসরকারি ক্ষেত্রে দেওয়া হত।