এবার থেকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত রাজ্যের যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে আসীন থাকা যাবে! এমনই আইন কার্যকর করতে চলেছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। চলতি বিধানসভা অধিবেশনে “ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ল সংশোধনী বিল ২০১৯” আনা হচ্ছে। যেখানে উপাচার্য হিসেবে অবসরের পর আরও ৫ বছর কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার উল্লেখ থাকছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এমন কথা বলতে নারাজ। তাঁর কথায়, সব উপাচার্যর ক্ষেত্রে এমনটা প্রযোজ্য হবে না। সূত্রের খবর, ৩টি ধাপে এটা করা হবে। শারীরিক অবস্থা, উপাচার্য পদে কাজের অগ্রগতি বিবেচনা করে মেয়াদ বৃদ্ধি করার বিধান রাখা হয়েছে বিলে। কতটা কর্মক্ষম রয়েছেন, উপাচার্য পদে থেকে তিনি কতটা সক্রিয়।
এই সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে। যদি কোনও উপাচার্য শিক্ষা দপ্তরের দেওয়া যাবতীয় শর্ত পূরণ করতে পারেন। তাহলেই ৬৫ বছরের পরবর্তীতে আরও ২ বছর উপাচার্য পদের মেয়াদ বাড়ানো হবে। ২ বছর পর ফের দেখা হবে তাঁর কর্মক্ষতা ও উপযোগিতা। তারপরই বিবেচনা করে আরও ২ বছরের জন্য বাড়ানো হবে কার্যকাল। তারপর আবারও উপাচাৰ্য পদে থাকার কর্মক্ষমতা ও উপযোগিতা প্রমাণ করে ১ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হবে। তবে শিক্ষা মহলে প্রশ্ন উঠছে, উপাচার্য শারীরিক অবস্থা ও কর্মক্ষমতার মানদন্ড কি হবে? কী কী নথি জমা দিলে মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ পাবেন তারা? উপাচার্যদের কি শারীরিক ভাবে ফিট থাকার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে? নাকি শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদনই চূড়ান্ত সীলমোহর দেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি?