বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপির সমালোচনা করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ২৪ ঘন্টা না যেতেই এর পালটা দিলেন ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। 

ব্রাত্যবাবু সোমবার বলেন, ‘আসলে ইতিহাস সম্পর্কে কোনও জ্ঞান বা ধারণা নেই বিজেপির। একইসঙ্গে ওরা পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করতে চাইছে, অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করতে চাইছে। এটা দ্বিচারিতা ও হাস্যস্কর।’ তাঁর মতে বাঙালি ও বাংলার প্রতি ওদের কোনও দায়ভার বা সম্মানবোধ আছে বলে তিনি মনে করেন না। তথাগতবাবু টুইটে লিখেছেন, “পশ্চিমবাংলার সাংসদরা কেউ চাইছেন উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ আলাদা হোক। এগুলোকে গুরুত্ব দেবার এখনই কোনও দরকার নেই।  কিন্তু বাংলার মত হিন্দু-শিখের স্বার্থে পাঞ্জাবও বিভাজন হয়েছিল, তারপর কি পাঞ্জাব ভেঙে হরিয়ানা হয়নি ? ব্রাত্য বসু একটু ইতিহাস ঝালিয়ে নিলে ভালো করবেন।“
গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, হঠাৎ আলাদা আলাদা রাজ্যের দাবি তোলা দলের পরিকল্পনাতেও ছিল না। এমনকি ২০০৯ সাল থেকে দার্জিলিং বিজেপির দখলে থাকলেও কখনই পৃথক গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থন জানায়নি দল। পরিস্থিতির বদল হওয়ায় এবং ক্রমবর্ধমান অনুপ্রবেশ রুখতে বিজেপি-র একাংশ উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির ডাক দিচ্ছেন।যদিও কংগ্রেস নেতা তথা অরুণাভ ঘোষ জানাচ্ছেন, রাজ্য ভাগ করার অধিকারের কথা  সংবিধানে রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের বিধানসভার অনুমতির প্রয়োজন হয়। তবে শেষপর্যন্ত আইন পাস হবে সংসদেই। তাই বিধানসভা অনুমতি না দিলেও কেন্দ্র চাইলে  রাজ্য ভাগ করতে পারে। ঠিক এভাবেই বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশে ভেঙে তেলেঙ্গনা বা মধ্যপ্রদেশ ভেঙে ছত্তিশগড় গঠিত হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.