ফের সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ২০১৮-র বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের অন্যতম পাণ্ডা জামাত জঙ্গিকে গ্রেফতার করল এসটিএফ। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা তথা জামাতউল মুজাহিদিন বাংলাদেশের ধুলিয়ান মডিউলের অন্যতম নেতা আবদুল রহিমকে সোমবার সন্ধে বেলা পূর্ব বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ।
ধৃত আবদুল রহিমকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে এসটিএফ গ্রেফতার করেছে আবদুল ওয়াহাব এবং মৌলানা ইউসুফ-সহ আরও কয়েকজন জঙ্গিকে। এ বার এসটিএফের জালে ধরা পড়ল আবদুল রহিমও। জানা গিয়েছে, আবদুল রহিমের খোঁজে অনেক দিন ধরেই জাল বিছিয়ে রেখেছিল এসটিএফ।
দু’মাস আগে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এবং ধুলিয়ান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই জামাতের মাথাকে। এসটিএফ সেই সময়ে জানিয়েছিল, এরা দু’জন মৌলানা এবং ওয়াহাবকে জেল থেকে ছিনতাইয়ের ছক করেছিল। জামাত জঙ্গিদের সকেট বোমা তৈরির ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিত এরা।
মৌলানা এবং ওয়াহাবের সঙ্গে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের যোগ আছে বলেও জানিয়েছিলেন এসটিএফ কর্তারা। কয়েক বছর আগেই খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ হয়। উড়ে যায় একটি দোতলা বাড়ি। প্রথমে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কথা বলা হলেও, পরে ঘটনার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ জামাত যোগের কথা খোলসা করে। মিলেছিল জেহাদি লিফলেট এবং প্রচুর দস্তাবেজ। বাংলাদেশের রাজশাহীর তৎকালীন সাংসদ চৌধুরী আলম বাদশা খাগড়াগড়ের জামাত যোগ নিয়ে দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে।
এসটিএফ জানিয়েছে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের আরও দুই পাণ্ডা এখনও অধরা। রহিমকে জেরা করে এ বার তাদের দিকেই হাত বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।