মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে নিয়মিত যোগাভ্যাস জরুরি, জানাচ্ছেন মনোবিদ

২১ জুন। বিশ্ব যোগা দিবস। প্রতিবছর এই দিনটা যোগা দিবস হিসেবে পালন হয়। তবে, অতিমারির সময় এই দিনের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। অতিমারীরে মানুষ যত বেশি অসুস্থ হচ্ছেন তত বেশি এর খারাপ প্রভাব পড়ছে মনে। ফলে, অবনতি হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য। শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে নিয়মিত যোগা করা দরকার প্রয়োজন, তা সকলেরই জানা। তবে, যোগা শুধু যে শারীরিক ভাবে মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এমন নয়। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনও ভালো থাকে নিয়মিত যোগা করলে। আর যোগা করতে গেলে খুব ভোরে উঠে এই শরীরচর্চা করতে হবে, এই ধারণা ভুল। দিনের নির্দিষ্ট সময় যোগাসন করলেই সুস্থ থাকা সম্ভব।

জেনে নিন যোগাভ্যাস কীভাবে এনে দেয় মানসিক শান্তি। মন সুস্থ রাখতে যোগাভ্যাস কতটা জরুরি জানাচ্ছেন মনোবিদ। মনোবিদ পল্লবী রায়ের (Psychologist Pallabi Roy) পরামর্শে জানুন কীভাবে যোগার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য বজায় থাকে।

১. লকডাউনের জন্য সংসার ও অফিস একসঙ্গে সামলাতে হচ্ছএ অনেককেই। যা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এর ফলে বাড়ছে স্ট্রেস। এই স্ট্রেস থেকে মুক্তি মেলে নিয়মিত যোগাচর্চায়।

২. শরীরের বিভিন্ন স্নায়ুতন্ত্র (নার্ভ) ও হরমোনের অধিক ক্ষরণে জন্য মানসিক চাপ বাড়ে। এক্ষেত্রে যোগা করুন। যোগা হরমোন ও স্নায়ু ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে।

৩. করোনায় গৃহবন্দী থাকা দরুন বন্ধ শরীরচর্চা। এতে শারীরিক ও মানসিক দু-ভাবেই কুড়েমি দেখা দিয়েছে। নিয়মিত যোগা করলে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে ব্রেনও স্বক্রিয় হবে।

৪. নিয়মিত যোগা করলে মনের জোড় বাড়বে। মন ফুরফুরে থাকবে।

৫. যোগা মানুষের মনকে ধীর স্থির করে। মন স্থির থাকলে যে কোনও কাজে সফল হবে।

৬. রাতে ঘুম ভালো না হলে, সারাদিন তার খারাপ প্রভাব পড়ে মনের ওপর। নিয়মিত যোগা করলে ঘুম ভালো হয়।

৭. যোগা মানুষের মনে শান্তি, আনন্দ, সুখ ও আত্ম সচেনতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৮. মানুষের মনের পজিটিভ অনুভূতি এনে দেয় যোগা।

৯. শারীরিক ও মানসিক কষ্ট দূর করতে সক্ষম যোগাভ্যাস।

১০. নিয়মিত যোগা করলে মনের ভীত দূর হবে। নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে যোগা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.