পশ্চিমবঙ্গ দিবস

আজ 20 june
পশ্চিমবঙ্গ দিবস

🙏🙏🙏সবাইকে শুভেচ্ছা🙏🙏🙏

★★★ আজও সাধারণ বাঙালীর হৃদয় খুঁজে বেড়ায় ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর মতো একজন মানুষ
যিনি বলতেন “অন্যায়ের প্রতিবাদ করো, প্রতিরোধ করো, প্রয়োজনে নাও প্রতিশোধ।”

  ।।।ভারত কেশরী ডাঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী।।।

তিনি ছিলেন দক্ষ রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সর্বোপরি দেশপ্রেমিক। তিনি একনিষ্ঠ সমাজ-ধর্ম-সাহিত্য সেবক ছিলেন।
৫০ এর মন্বন্তরের সময় যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছিলেন তখন মুসলিম লিগের সরকার ছিল বাংলাতে, তারা হিন্দুদের জন্য নাম মাত্র ব্যবস্থা করেছিল । ফলাফলে সুবিধা পাচ্ছিল মুসলিমরা।
তখন
ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর একান্ত প্রচেষ্টায় তৈরী হয় “বেঙ্গল রিলিফ কমিটি” এবং তাতে হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সকলেই সাহায্য পেলেন।

তবে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর জীবনের সবচেয়ে বড় অবদান, যা অকৃতজ্ঞ বাঙালিরা অবহেলায় ভুলে গেছে – পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্থানের কবল থেকে বাঁচিয়ে আনা, ডঃ মুখার্জী না থাকলে পশ্চিমবঙ্গের অস্তিত্বই থাকত না।

মুসলীম লীগ ও কংগ্রেসী নেতারা গদির লোভে যখন দেশ ভাগ করতে ব্যস্ত তখন শ্যামাপ্রসাদ দেশভাগের বিরোধিতা করেন ।
দুই বাংলা মিলে মুসলিম বেশি ছিল তাই দেশ ভাগ হলে কংগ্রেস নেতাদের দিল্লীর ক্ষমতা পেতে সহজ হবে। বাঙালী হিন্দুরা ভবিষ্যতে মুসলিমদের হাতে যে মার খাবে তা জেনেও সেই নেতারা চুপ ছিল, শুধু গদির লোভের আশায় ।

পরিকল্পনা অনুযায়ী
মুসলিম লীগ আলাদা পাকিস্থান রাষ্ট্র গড়ার জন্য তীব্র আন্দোলন শুরু করে, শুরু করে নির্মম হিন্দু হত্যা । এরপরে মুসলিম লিগের চাপে জনগণনা শুরু হয়। মুসলিম জনসংখ্যা ৫৮% হল ।
বাংলা বিভাজনের সম্ভাবনা আরও জোরালো হল ।
কিন্তু
শ্যামাপ্রসাদ থামবার পাত্র ছিলেন না। তিনি বাংলার সকল জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যান তথ্য দেখিয়ে দাবি করলেন – “যদি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল পাকিস্থানে যাবে তাহলে বাংলার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল পাকিস্থানে কেন যাবে ?”
তিনি শুরু করলেন তীব্র বিরোধীতা, তাঁর যুক্তিকে ইংরেজ সরকারও অস্বীকার করতে পারে নি ।
তাই হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল ভারতে থেকে যায় ।
নাম হয় পশ্চিমবঙ্গ ।
নাহলে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গ যেত বর্তমান বাংলাদেশে।

সেই হিসেবে
তিনিই হলেন পশ্চিমবঙ্গের স্রষ্টা ।
অথচ, দুঃখের বিষয় আজকের এই স্বাধীন পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই এই স্রষ্টাকে অনেকেই চেনেন না,
আর যাঁরা জানেন তাঁরা এই সত্যকে স্বীকার করতে চান না ।

তাকে সুদূর কাশ্মীরে ঘরবন্দি করা হয়।
বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়। তার মৃত্যুর কোন তদন্ত হয়নি আজ অব্দি।

এমনকি তার মৃত্যুর পরও অনেক ষড়যন্ত্র হয় এই পশ্চিমবঙ্গে।
এরপর তার জন্মভূমি কলকাতাতে তার মৃতদেহ যেদিন আনা হয় সেইদিন বামেরা বাংলা বন্ধ ডেকেছিল যাতে তার অন্তেষ্টিতে বেশী মানুষ যেতে না পারে ।
তবুও সেসব বাধা অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার লোক একত্রিত হয়েছিলেন তাঁদের প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে ।
কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন এই পশ্চিমবঙ্গবাসী হয়ে পশ্চিমবঙ্গের স্রষ্টাকে শেষ প্রণাম জানাতে।।।

স্বাধীনতার ৭২ বছরে এই মহাপুরুষকে কম অবহেলার স্বীকার হতে হয়নি । তবুও তিনি কিন্তু বাংলা তথা ভারতের প্রতিটি মানুষের মনের মনিকোঠায় স্থান দখল করে আছেন আর থাকবেন।

🙏কর্ম ই ধর্ম🙏

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.