Black coats don’t have any colour

Black coats don’t have any colour

বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে একাধিক মামলা করেছেন। অনেক আইনজীবী করে থাকেন বিভিন্ন দলের হয়ে। অনেক বিচারপতির রাজনৈতিক পরিচয় থাকে বিচারপতি হওয়ার আগে। মাননীয় বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র বিচারপতি হওয়ার পর কোন রাজনৈতিক সভা তে গিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা জজ সাহেব V R Krishna Iyer একসময় কমিউনিস্ট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। পরবর্তীকালে জজ হয়েছিলেন। তার নিরপেক্ষতা নিয়ে কথা বলার সাহস কারোর হয় নি । মাননীয় বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র দক্ষ ছিলেন তাই বিচারপতি হয়েছেন। তৃণমূল একটা বাজে প্রশ্ন করে প্রমাণ করলো যে তারা judiciary কে সন্মান করে না। অবশ্য এর অনেক উদাহরন তৃণমূল আগেই দিয়েছে। কোন সময় অনুব্রত তো কোন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে।

বিচারপতিদের রাজনৈতিক রং থাকে না । আজকে তৃণমূল যেটা করলো সেটাকে বলে forum shopping. হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী Chief Justice is the master of roster এবং তিনি determination assign করেন। এরকম যদি হয় এবং তৃণমূলের মনোভাব যদি এটা হয় তাহলে তৃণমূল ঠিক করে দিক কোন জজের ঘরে শুনানি হবে।

তৃণমূলের কথা যদি ধরতে হয় তাহলে সরকারের বিপক্ষে কোনো মামলা কলকাতা হাইকোর্টে হওয়া উচিত নয়। বেশিরভাগ আইনজীবী কোন না কোন সময় সরকারি আইনজীবীদের প্যানেলে ছিলেন অথবা কোন না কোন নেতার মামলা করেছেন। আজ হওয়ার পরে নিমন্ত্রণ খেতে যাওয়ার কথা নাইবা বললাম বা অবসর গ্রহণের আগেই comission এ appointment এর কথাও না হয় বাদ দিলাম।

আজকের মামলায় মাননীয় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আইনজীবী হলেন Adv. Soumendra Nath Mukherjee ওরফে গোপাল দা। তার পরিচয় নিশ্চয়ই জানা আছে? তিনি একজন সুদক্ষ আইনজীবী সেই নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। আরেকটা পরিচয় হলো তিনি জুলু বাবুর ছেলে। হ্যাঁ , সত্যব্রত মুখার্জি সাহেবের কথা বলছি। ভারতীয় জনতা পার্টির এক সময় কার MP এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি ছিলেন।

তাহলে কি মাননীয়া এবার নিজের আইনজীবিকে অবিশ্বাস করবেন?

তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.