বিশ্বজুড়ে লাগাতার বৃদ্ধি পাচ্ছে দূষণ, যার জেরে ঘটছে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এইভাবে চলতে থাকলে এক সময় সাগর নিকটবর্তী শহর ডুবে যাবে, তা আগে থাকতেই জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। তাই এখন বিশ্বকে বাঁচাতে একের পর এক পরিকল্পনা লঞ্চ করছেন বিশ্বস্তরীয় নেতারা। আর এই দিক থেকে এখন সবথেকে বড়ো সাফল্যের অংশীদার হয়েছে ভারতবর্ষ। গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাতে ভারত সরকার ২০১৫ সালে ‘ফেম’ প্রকল্প শুরু করেছিল।
Photo of আজ পশ্চিমবঙ্গ দিবস, বাংলার বইতে পড়ানো হয় না বাঙালি হিন্দু হোমল্যান্ড তৈরির ইতিহাস
আজ পশ্চিমবঙ্গ দিবস, বাংলার বইতে পড়ানো হয় না বাঙালি হিন্দু হোমল্যান্ড তৈরির ইতিহাস
7 hours ago
২০১৫ সালে প্রথম দফায় যখন মোদী সরকার প্রকল্পটি এনেছিল তখন বরাদ্দ হয়েছিল ৮৯৫ কোটি টাকা। অভাবনীয় সাফল্যের ধাক্কায় ২০১৯ সালে দ্বিতীয় দফায় সেটাই একলাফে বেড়ে হয়ে গিয়েছিল ১০০০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের পুরো নাম ফাস্টার এডপশন এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অফ ইলেকট্রিক ভেহিকলস, যা সংক্ষেপে ফেম (FAME)। উদেশ্য, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পেট্রোপণ্যের উপর নির্ভরতা বহুলাংশে কমিয়ে রাজকোষকে চাঙ্গা করা। পাশাপাশি দূষণ ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নরেন্দ্র মোদীর অনেক হাতিয়ারের একটি হাতিয়ার বৈদ্যুতিক গাড়ির চল বাড়ানো।
ব্যাপক চাকরির সুযোগের সাথে পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির চিরাচরিত সমস্যা থেকে আমজনতাকে রেহাই দেওয়ার চাবিকাঠিও বটে। এখনো অবধি এই যোজনার আওতায় ৭৫০০০ বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির সৌজন্যে ২০ মিলিয়ন লিটার জ্বালানি বাঁচানোর পাশাপাশি ৪০ মিলিয়ন কিলোগ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমানো গেছে। স্পষ্টতই, বড়ো মাপের দূষণ থেকে দেশকে রক্ষা করেছে এই প্রকল্প।
অতি সম্প্রতি কেন্দ্রের ভারী শিল্প দফতর প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টায় ১৫০০০ টাকা ইনসেন্টিভ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই যোজনা ২০৩০ এর স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্য ও ১.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সাথে সাযুজ্যপুর্ণ।
এই প্রকল্প ভারতকে জলবায়ু পরিবর্তন বিরোধী লড়াইয়ে সামনের সারিতে এনে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারত সরকারের গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ের দরুন ২০১৮ সালে Champions of Earth খেতাব পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।