করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলে উঠতে না উঠতেই আর এক উদ্বেগের কথা জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন (Soumya Swaminathan)। তিনি করোনার ভাইরাসের ডেল্টা রূপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার, তিনি জানান যে, ভাইরাসটির ডেল্টা রূপ সারা বিশ্ব জুড়ে প্রভাব দেখাচ্ছে। সম্প্রতি ডেল্টা (Delta) স্ট্রেনকে ডাব্লুএইচও দ্বারা ‘ভেরিয়েন্টস অফ কনসার্ন’-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই রূপটি ভারতে প্রথম পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি এটি দেশের দ্বিতীয় তরঙ্গের জন্যও দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান বিজ্ঞানী জানান, মারণ ভাইরাস করোনার ভ্যারিয়েন্টগুলো ছড়িয়ে পড়ায় গোটা বিশ্বে করোনার ভাইরাস পরিস্থিতি এই মুহূর্তে গতিশীল। উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরোও বলেন, করোনার ভাইরাসের ডেল্টা (Delta) রূপটি গোটা বিশ্বে সবথেকে প্রভাবশালী ভ্যারিয়েন্ট রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সিনোভাক ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ‘সীমিত’। এই ভ্যাকসিন শ্রমিকদের হাসপাতালে ভর্তি থেকে বাঁচাতে সক্ষম নয়। এবিষয়ে তিনি জানান, বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনের স্ট্রেনের বিরুদ্ধে যে কার্যকারিতা রয়েছে তা জানতে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলিকে আরো অধ্যয়ন করতে হবে। এর জন্যে আরোও ডেটার প্রয়োজন। তাছাড়া, করোনার বিভিন্ন ধরণের ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের প্রভাব কতটা তা খুঁজে পেতে WHO-র একদল বিশেষজ্ঞ রয়েছে। যারা বর্তমানে বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব ব্রিটেনেও দেখা গেছে। পাবলিক হেলথ অফ ইংল্যান্ড জানিয়েছে করোনার আলফা ভ্যারিয়েন্টের থেকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। জার্মানির প্রবীণ স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, টিকা বাড়ানোর পরেও ডেল্টা রূপটি সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।
বর্তমানে ভারতে করোনা বিরুদ্ধে লড়তে টিকাকরণের (Vaccination) উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৭ কোটি ২৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৮৩ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৭৫৩ জন। শুক্রবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৪৮০ জন। আক্রান্তের পাশাপাশি দেশে মৃত্যুর সংখ্যাও নিম্নমুখী। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬৪৭ জনের।