নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় বৃষ্টি বঙ্গে। শহর থেকে জেলা, জল থৈ-থৈ অবস্থা সর্বত্র। ইতিমধ্যেই বেশ কয়কটি জেলায় নদীবাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে। একাধিক নদীর জল বিপদসীমা ছুঁয়েছে। দ্বারকেশ্বর নদের জল উপচে ভেসে গিয়েছে সেতু। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) ও বিহারের (Bihar) ওপর তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। এরই পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)ও বাংলাদেশের (Bangladesh) ওপর রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। দু’য়ের জেরে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি (Rain) চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
জোড়া ঘূর্ণাবর্তে গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি চলছে। জেলাগুলির পাশাপাশি ব্যাপক বৃষ্টি শহর কলকাতায় (Kolkata)। মহানগরীর একাধিক এলাকায় জল জমে দুর্ভোগ বাড়ছে। উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি চত্বরে ফি বারের বর্ষার জলছবি এবারও। এছাড়াও উত্তর,মধ্য ও দক্ষিণ কলতাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় জমা জলে দুর্ভোগে শহরবাসী। হরিবেদবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালা চত্বরেও কোথাও গোড়ালি ডোবা কোথাও আবার হাঁটু সমান জল পেরিয়েই যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে পুরসভার তরফেও জল সরানোর প্রয়াস জারি রয়েছে।
কোথাও জল জমে থাকার খবর পেলেই ছুটে যাচ্ছেন পুরকর্মীরা। প্রয়োজনে পাম্প চালিয়ে জমা জল অন্যত্র সরানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। তবে বৃষ্টি একনাগাড়ে চলছে বলে সমস্য়া বাড়ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে রবিবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি চলবে। আজ শনিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে গোটা রাজ্যে। কলকাতাতেও আজ দু’-এক পশলা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরই পাশাপাশি অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে।
এছাড়াও ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, দুই দিনাজপুরে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমেও আজ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় বিহার, ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি বাড়বে। তার জেরে জলাধার ও নদীগুলিতে জল বাড়ার সম্ভাবনা। বিহার, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া নীচু এলাকাগুলিতে বিশেষভাবে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।