মনে আছে, কেরলের এই ভগিনী লুসি তাঁর বিশপের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। প্রতিদানে তাঁকে ‘আনুগত্যের অভাব’ এই কারণ দেখিয়ে কনভেণ্ট থেকে নির্বাসিত করা হয়। তিনি ক্যাথলিকদের সর্বোচ্চ সংস্থা ভ্যাটিক্যান সিটির Supreme Tribual of the Apostolic Signatura-তে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিলেন। ভ্যাটিকান এক সপ্তাহের মধ্যে এই ৫৬ বছর বয়সী মহিলাকে কনভেণ্ট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
মজার কথা হল, ভ্যাটিকান থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে এই ভগিনী জানিয়েছেন যে, তিনি ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় এর সমাধান খুঁজবেন। এইটিই সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য বিষয়। যে মুহূর্তে কোন ব্যক্তি হিন্দুত্ব ত্যাগ করে অন্য সম্প্রদায়কে বরণ করেন সেই মুহূর্তেই তার আস্থা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধার স্থান ভ্যাটিকান কিংবা মক্কায় পরিবর্তিত হয়।
উক্ত ক্যাথলিক সর্বোচ্চ আদালত, পূর্বোক্ত বিশপ, মতান্তরণের কাজে নিয়োজিত সম্পূর্ণ ব্যবস্থা ও সংগঠনের কাজ নিন্দনীয়। সর্বোপরি, নিজের পূর্বপুরুষরা যে সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে বহন করে এসেছেন সেই সংস্কৃতি পরিত্যাগ করে বিদেশী মতের প্রতি নিজের আস্থা প্রতিষ্ঠিত করার কি অমোঘ পরিণতি।