ধর্মঘটের পথে মহারাষ্ট্রের আশা কর্মীরা, একগুচ্ছ দাবি নিয়ে সোচ্চার

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এবার সরব হল মহারাষ্ট্রের আশা কর্মীরা (ASHAs)। ৭২ হাজারেরও বেশি আশাকর্মী মঙ্গলবার ধর্মঘটে সামিল। তাদের দাবি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা করোনার কাজ করে চলেছে। তার জন্য বেতন বৃদ্ধির প্রয়োজন। প্রশাসন যদি তাদের এই দাবি পূরণ না করে তাহলে করোনার যাবতীয় কাজ তাঁরা করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

করোনাভাইরাসের (Covid 19) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চিকিসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যেমন কাজ করে চলেছে, তেমনই তৃণমূল স্তরে নীরবে কাজ করে চলেছেন আশা কর্মীরা। তাঁর জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকিও নিতে হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, বেতন-সহ তাঁদের দাবিদাওয়া সম্পর্কে উদাসীন প্রশাসন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার গোটা মহারাষ্ট্রজুড়ে ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন ৭২ হাজার আশাকর্মী।

নাসিকের এক আশা কর্মী মায়া ভোলাপ। তিনি জানান, বছরে তাদের সার্ভে করতে হয়। তার জন্য বাড়িতে বাড়িতে ঘুরতেও হয়। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, ‘আমরা এই কাজের জন্য একদম কম বেতন পাই। দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয় আমাদের। কোভিড সার্ভে করতে সরকার আমাদের জন্য বরাদ্দ করেছে দিনে মাত্র ৩৩ টাকা।’

শুধু করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নয়, এলাকার প্রসূতিদের দিকে তাঁদের নজর রাখতে হয়। তাছাড়া শিশুদের টিকা নেওয়া, প্রসবের পর শিশু ও মায়ের দিকে বিশেষ নজর রাখেন তাঁরা।

শুধু বেতন নয়, আশাকর্মীর অভিযোগ, কোভিডের সবরকম কাজ তাদের করতে হয়। কিন্তু ন্যূনতম সুরক্ষা বর্ম তাঁরা পান না। এবিষয়ে ভোলাপ বলেন যে, তাদের পিপিই (PPE) প্রদান করা হয়। এমনকি শেষবার স্যানিটাইজার (Sanitizer) দেওয়া হয়েছে গত বছরে। তাঁর আর্তি, ‘আমাদেরও তো নিরাপত্তার প্রয়োজন।’

উল্লেখ্য, গোটা মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) কমপক্ষে ৫৭০ জন আশা কর্মী করোনা আক্রান্ত (Covid-19) হয়েছেন। তাই নিজেদের সুরক্ষার জন্য এবার সরব হয়েছেন তাঁরা। বেছে নিয়েছেন আন্দোলনের পথ। আশাকর্মীদের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের দাবি পূরণ না হলে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ বন্ধ করে দেবেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.