নির্বাচনের আগে যেভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন নেতা মন্ত্রীরা, ফলাফলের পর সেই গতিতেই আবার দলে ফিরতে চাইছেন তাঁরা। গত শুক্রবার মুকুল রায়কে তৃণমূলে আবারও নিয়ে নিলেও, সেদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘ বিশ্বাসঘাতকদের দলে ফেরানো হবে না।’ এই কথা শোনার পর থেকেই, দলবদলের ইচ্ছে থাকলেও তৃণমূলে যেতে পারছেন না বহু নেতা নেত্রী। তাই জোড় করেই বিজেপিতে রয়েছে বলে দাবি করলেন মিহির গোস্বামী এবং নিশীথ প্রামাণিক। এরই মধ্যে মুকুল রায়কে তীব্র কটাক্ষ করে কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, “কিছু নেতা আছেন যাঁরা ক্ষমতার বাইরে থাকতে পারেন না।”
এদিন মিহির গোস্বামী বলেন, “কিছু নেতা আছেন যাঁরা ক্ষমতার বাইরে থাকতে পারেন না। তাঁদের মনে হয়েছিল বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। তাই দল পাল্টে ছিলেন। এরা রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে দেখেন।”
এই অভিযোগের পাল্টা জবাব এখনও দেননি মুকুল রায়। একুশের নির্বাচনের আগে দলবদলের হিড়িকের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মিহির গোস্বামী। উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী সভা থেকে তাঁকে নিশানা করে মমতা বলেছিলেন, “এঁরা জোয়ারে আসে ভাটায় চলে যায়।”
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নাটাবাড়ি কেন্দ্রে দাঁড়ানো তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে হারিয়েছেন মিহির গোস্বামী। অবশ্য মুকুল রায়ের ফেরার আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার জন্য আবেদন জানিয়েছেন সোনালি গুহ, সরলা মুর্মু, দীপেন্দু বিশ্বাসের মতো বিজেপিতে যোগদানকারী নেতারা। তারপরই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি বিজেপি বিরোধী নানান পোস্টও করছেন তিনি। এই আবহে মিহির গোস্বামী ও নিশীথ প্রামাণিকের দাবি, মুকুল রায়ের দলবদলের পর তাঁদের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি এবং বলার প্রয়োজনও মনে করেন না তাঁরা।