পরিস্থিতি সামান্য শোধরাতেই রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করল সরকার। আগামী ১৬ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত আপাতত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তাতে গণ পরিবহণ আগের মতো বন্ধ থাকলেও, সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে সঙ্গে নিয়ে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা হয়। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ১৬ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বেসরকারি দফতর খোলা রাখায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়েই কাজ চালানো যাবে। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মুদি দোকান, বাজার, হাট খোলা রাখা যাবে। অন্যান্য দোকান খোলা রাখা যাবে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আগের মতোই ব্যাঙ্ক খোলা থাকলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত। বন্ধ থাকবে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ব্যবসায় ক্ষতি নিয়ে এর আগে বিধিনিষেধ শিথিলে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাতে সাড়া দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রেস্তরাঁ, পানশালা, হোটেল এবং শপিংমল খোলা রাখায় অনুমতি দিয়েছে রাজ্য। দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রেস্তরাঁ, হোটেল এবং পানশালা খোলা রাখায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ৫০ শতাংশ গ্রাহককেই ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শপিং মল খোলা রাখা যাবে সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সেখানে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ গ্রাহক ঢোকার অনুমতি রয়েছে।
আগের মতো সিনেমা হল, শরীরচর্চা কেন্দ্র, স্পা বন্ধ থাকলেও, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলায় অনুমতি দিয়েছে সরকার। টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়ে থাকলে প্রমাণপত্র নিয়ে পার্কে প্রাতভ্রমণে যেতে পারবেন সাধারণ মানুষ। চিকিৎসার প্রয়োজনে অটো চলাচলে অনুমতি। তবে লোকাল ট্রেন, মেট্রো এবং বাস পরিষেবা আগের মতোই বন্ধ থাকছে। রেল এবং ব্যাঙ্ক কর্মীদের জন্য সীমিত সংখ্যক ট্রেন চলবে। রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবার বাইরে সমস্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত না হলে, ওই সময় বাইরে বেরনো যাবে না। ৫০ জন অভিনেতা এবং কর্মী নিয়ে টলিপাড়ায় শুটিং শুরু করতেও অনুমতি দিয়েছে রাজ্য। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের টিকা নিয়ে নিতে বলা হয়েছে।