হয়ত হতেও পারে, আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকেন বা সুইচ অফ করে রাখেন তখন আপনার নাম্বারটি সেই সময়টুকুর জন্য চায়নায় ব্যবহার হচ্ছে। তবে দিনের বেলাতেও হতে পারে ,সেই সময় আপনার মোবাইল টাওয়ার থাকবে ,কিন্তু লোকে আপনাকে নট রিচেবল পাবে। মালদায় চীনা নাগরিক কে গ্রেপ্তারের পর এমনই তথ্য উঠে আসছে গোয়েন্দা সুত্রে। তবে এই জালিয়াতি বেশি হচ্ছে তাদের দেশের তৈরি ফোন যারা ব্যবহার করছেন তাদের ক্ষেত্রে ।
সুত্রে জানা গেছে, অভিনব উপায়ে চায়নাতে বসেই ভারতীয় সিমকার্ড ব্যবহার করে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি চালাচ্ছে চীনা হ্যাকাররা। বেজিং, হুবেই এমনকি কুনমিং থেকে সহজে সল্টলেক, কলকাতা , হাওড়া,শিল্গুড়ি ,মালদার বাসিন্দাদের ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে টাকা। এমনকি টাকা তোলা হচ্ছে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদের মতো বড় শহরের বাসিন্দাদেরও।
গোয়েন্দারা দাবি করছেন, চীনা হ্যাকারদের হাতে রয়েছে এমন সফটওয়্যার, যার মাধ্যমে তাদের হাতে থাকা সিমকার্ডটি ব্যবহার করতে পারে কারও ডুপ্লিকেট সিমকার্ড হিসাবে। আর ফোনটি চীনা সংস্থার তৈরি হলে হ্যাকারদের পোয়াবারো। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে কোনও ব্যাঙ্কের লিঙ্ক বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের লিঙ্ক পাঠানোর নাম করেও জালিয়াতি করছে হ্যাকাররা। সম্প্রতি মালদহের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিএসএফের গোয়েন্দাদের হাতে ধৃত চীনের বাসিন্দা হান জুনউইকে জেরা করে জালিয়াতি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। ধৃত চীনা স্বীকার করেছেন অন্তত ১৩০০ টি ভারতীয় সিমকার্ড চীনে পাচার করেছে।এবং তিনি অন্তর্বাসের আড়ালে ভারত থেকে চীনে পাচার করত এই সিমকার্ড।