নয়াদিল্লি, ১১ জুন (আইএএনএস): দেশভাগের পরে, হিন্দু জাতীয়তাবাদের আদর্শ এবং তত্বের ধারক ও বাহক হিসেবে টিকে রয়েছে একমাত্র রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)।
স্বাধীনতার পরে, হিন্দু মহাসভার লুপ্তপ্রায় প্রতিপত্তি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জনসেবার ময়দানে নিজেদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। সংঘসেবকরা নিজেদের কর্মপদ্ধতি সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য নিজেদের সাজিয়ে তুলেছিলেন সাদা জামা ও খাকি প্যান্টে, যা ছিল হিন্দুত্বের প্রতীক।
বিনায়ক দামোদর সাভারকারের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে নাগপুর শহরের চিকিৎসক কেশব বলরাম হেগজীওয়ের ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আরএসএস। পরে, ১৯৫১ সালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন আরএসএসের রাজনৈতিক শাখা, ‘জন সংঘ’ (বর্তমানে বিজেপি) যা পরবর্তীকালে সাফল্যের সাথে পূর্বসূরীদের ধ্বজা বয়ে নিয়ে চলেছে।
হিন্দুত্ববাদীদের বীজ প্রথম লক্ষনীয়ভাবে প্রকট হয়েছিল ১৯৮০ সালে, যখন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ উত্তর ভারতের অযোধ্যাতে ষোড়শ শতাব্দীর একটি প্রাচীন মসজিদ (বাবরি মসজিদ)-এর জায়গায় হিন্দু মন্দির (রাম মন্দির) তৈরী করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং পরবর্তী ঘটনাগুলি ভারতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতির পটপরিবর্তনে সহায়তা করেছিল। আর এই আহ্বান অনুসরণ করেই উত্তর ভারত হয়ে উঠেছিল
হিন্দু-পুনর্জাগরণের কেন্দ্রস্থল। তবে, হিন্দুত্ববাদের উত্থানের আসল বীজ বপন হয়েছিল অবিভক্ত বাংলায়।
“হিস্টোরিক্যাল রুটস্ অফ দ্য রাইস্ অফ হিন্দুত্ব ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল”— প্রতিবেদনের লেখিকা এবং সাংবাদিক মন্দোবীনা গুপ্তা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে “জনসংখ্যার বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে মুসলমানরা একদিন কর্তৃত্ব স্থাপন করবে”। এই প্রতিবেদনটি তিনি ১৯১০ সালে ইউ.এন. মুখোপাধ্যায়কে লিখেছিলেন।
গুপ্তা লিখেছেন: ইউ.এন. মুখোপাধ্যায় হলেন “হিন্দুস্: অ্যা ডাইং রেস”(১৯১০) নামক পুস্তিকার লেখক। তিনি এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধ্বংস এবং বিলুপ্তির বিষয়ে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
জনগণনার পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে, মুখার্জি যুক্তি দিয়েছিলেন যে মুসলমানদের সংখ্যা ধীরে ধীরে এমন বেড়ে যাবে যে তারা একদিন হিন্দুদের উপর সহজেই আধিপত্য বিস্তার করবে। তিনি বাংলার আদমশুমারীর কমিশনার সি. জে. ও’ডনেল-এর দেওয়া একটি সতর্কবার্তা প্রেরণ করেছিলেন, যেখানে তিনি ১৮৯১ সালে গণনা করে জানিয়েছিলেন, যে হারে মুসলমানদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে “বাংলা থেকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হতে” হিন্দুদের ঠিক কত বছর সময় লাগবে।
যাইহোক, হিন্দুত্ব এবং ভারতমাতার ধারণাটি তৈরী হয়েছিল ১৯১০ সালের অনেক আগে থেকেই। ইতিহাস প্রমাণ করে যে বঙ্গভূমি আসলে হিন্দু জাতীয়তাবাদের ধারণা এবং ভাবনার বিকাশের জন্য প্রকৃত সহায়ক স্থল ছিল।
বাংলার বুকেই প্রথম, ‘ভারত মাতা’ চিত্রিত হয়েছেন এবং ‘হিন্দুত্ববাদ’ শব্দটিরও উৎপত্তি হয়েছিল। ১৯০৫ সালে, যখন ব্রিটিশরা বঙ্গভঙ্গ করেছিলেন, সেইসময় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম ‘ভারত মাতার’ ছবি আঁকেন – গেরুয়া বস্ত্রে সজ্জিতা এই মানবী ছিলেন একজন সন্ন্যাসিনীর প্রতিমূর্তি।
চতুর্ভূজা এই সন্ন্যাসিনী এক হাতে ধারন করেছেন বেদ, অন্যহাতে ধরেছেন ধানের শিষ ( শস্যশ্যামলা ভূমির প্রতীক) , আরেক হাত সজ্জিত হয়েছে রুদ্রাক্ষে এবং অপর হাতে রয়েছে এক টুকরো সাদা কাপড়। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রিত ভারত মাতা তাঁর সন্তানদের প্রদান করছেন – “শিক্ষা, দীক্ষা, অন্ন, বস্ত্র।”
হিন্দুত্ববাদের সাথে হিন্দু ডানপন্থীদের যুক্ত হওয়ার অনেক আগে, এই শব্দটির উৎপত্তি হয়েছিল বাংলার বুকেই, হিন্দু ধর্মের পুনর্জাগরণের জন্য। ১৮৯২ সালে, প্রথমবার, “হিন্দুত্ব” শব্দটির পত্তন বা এই ধারণার আবিষ্কার করেছিলেন বাংলার সাহিত্যিক চন্দ্রনাথ বসু, তাঁর শ্রেষ্ঠ-রচনা ‘হিন্দুর প্রকৃত ইতিহাস’ (অ্যাকচুয়াল হিস্ট্রি অফ হিন্দু)-তে। স্পষ্টতই এটাই ছিল “হিন্দুত্ব” শব্দের “প্রথম লিপিভুক্ত” ব্যবহার। চন্দ্রনাথ হিন্দুদের “অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের তুলনায় মৌলিকভাবে উচ্চতর হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন, যাদের ঐতিহ্যশালী সামাজিক রীতিনীতি এবং নিয়মাবলী নিয়ে তাঁরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে স্বতন্ত্র চিন্তা-চেতনায় রঞ্জিত হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে এবং বলাবাহুল্য এই ধর্ম ছিল পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ উন্নত। বসু ধর্মান্তরীকরনের বিরোধী ছিলেন এবং “জোর দিয়েছিলেন যাতে ভারতভূমি ইসলাম, খ্রিস্টধর্মের মতো বিদেশী ধর্মের স্বদেশ হয়ে না ওঠে।”
১৮২৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন, রাজনারায়ণ বসু। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক এবং বুদ্ধিজীবী। মেদিনীপুরের ‘জাতীয় গৌরব সম্পাদনী সভা (‘জাতীয় গৌরব অর্জনের সংস্থা)’ এবং কলিকাতার (বর্তমান কলকাতা) ‘সঞ্জীবনী সভা’ (পুনর্গঠন সংস্থা) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রচারের জন্য। ১৮৭৮ সালে হিন্দু বিষয়ক তাঁর রচনা ‘হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব’ (‘দ্য সুপিরিয়রিটি অফ দ্য হিন্দু রিলিজিয়ন’), যা হিন্দুধর্মের পুনরুজ্জীবনের এক নতুন ধারার সূচনা করেছিল।
বাংলায় ধর্ম রক্ষিনী সভা (ধর্মান্তরীকরনের থেকে সুরক্ষা) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৬৯ খ্রীষ্টাব্দে।
হিন্দুদের প্রথম ধর্মসভা আয়োজিত হয় পশ্চিমবঙ্গে। নবগোপাল মিত্র ছিলেন একজন নাট্যকার, কবি, প্রাবন্ধিক এবং দেশপ্রেমিক। ১৮৬৭ খ্রীষ্ট্রাব্দে তিনি “হিন্দু মেলা” নামক একটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবের সূচনা করেন। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল “বাংলা ও ভারতের জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবাদী অনুভূতি জাগ্রত করা”। রেকর্ড অনুসারে, ১৮৭৫ সালে, ১৪বছর বয়সী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রথম কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন – ‘হিন্দু মেলার উপহার (হিন্দুমেলা’স্ গিফ্ট)।” ঘটনাচক্রে এই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামেই প্রকাশিত হয় প্রথম কবিতা।
১৮৫৩ সালে, গিরিশচন্দ্র ঘোষ প্রতিষ্ঠা করেন – ‘হিন্দু পেট্রিয়ট’ পত্রিকার। পত্রিকায় প্রকাশিত ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের গল্পগুলিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে বিদ্রোহীরা “মোঘলদের নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখে তাদের নিজস্ব ক্ষতির কারণ হয়ে উঠেছিল”।
“(ব্)ন্দে মাতরম”, বাংলায় উচ্চারিত হয় বন্দে মাতরম্ হিসাবে (মাদার আই বাও টু দ্যি)। ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত “আনন্দমঠ” উপন্যাস (যেখানে তিনি এই কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন) থেকে গৃহীত এই শব্দমালা হয়ে উঠেছিল ডানপন্থীদের আদর্শ, যা তাঁদের শরীরে, মননে, চিন্তনে উৎসারিত হয়েছিল।
ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘আনন্দমঠ’ বিষয়ে কথা বলার সময় তাঁর বই, ‘স্পেস, ইউটোপিয়া এবং ইন্ডিয়ান ডিক্লোনাইজেশন’ -এ লিখেছেন- “আনন্দমঠের সমাপ্তিতে মূর্ত হয়েছে চলমান স্বতন্ত্র মুসলিম-বিরোধিতার ধারা”। বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বইয়ে বলেছেন যে “আনন্দমঠ” উপন্যাস “মুসলিম”দের জন্য এক পুনর্গঠিত বিভাগ তৈরি করেছে এবং আধুনিক দক্ষিণ এশিয়ার আদর্শ হিন্দুদের মধ্যে তাদের চিহ্নিত করেছে “অন্য” একটি পরিচ্ছেদ হিসাবে। আর এটা এমনই একটি ধারণা যা সময়ের সাথে প্যান-ইন্ডিয়ান অর্জন করবে”।
হিন্দু বাঙালি ভদ্রলোকদের দিকে ইঙ্গিত করে বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ঔপনিবেশিক ইতিহাস-রচনায় “সাধারণ জ্ঞান” এর প্রতিলিপি হিন্দুদের উপস্থাপন করেছে ভারতের প্রকৃত বাসিন্দা বা আদি অধিবাসী হিসাবে। এই ভদ্রলোকেরা ঔপনিবেশিক শাসকদের অনুসরণ করে নিজেদের সাজিয়ে তুলেছেন আর্যদের বংশধর হিসাবে এবং মুসলমানরা চিত্রিত হয়েছেন বিদেশী অত্যাচারী শক্তি হিসাবে। তিনি এই কথার রেশ বজায় রেখেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে “আনন্দমঠের মুসলিম বিরোধী বক্তৃতাগুলি শুধুমাত্র এই চিন্তাধারারই প্রকাশ ঘটায়নি, বরং জনসমক্ষে উন্মোচিত হওয়ার আগেই এক বর্ণাঢ্য এবং আবেগপূর্ণ ব্যাখ্যার যোগান দিয়েছে”।
এমনকি বঙ্গভঙ্গের প্রথম পর্যায়ের আগে (১৯০৫) সমগ্ৰ বাংলা প্রত্যক্ষ করেছিল অনেকগুলো জাতীয়তাবাদী সংগঠনের উত্থান। তাদের মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ছিল ‘অনুশীলন সমিতি বা ‘বডি বিল্ডিং ইনস্টিটিউশন’। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠার পিছনে ছিল স্থানীয় বাঙালি যুবকেরা এবং বাংলার আখরাগুলো। অনুশীলন সমিতির নেতৃত্বে ছিলেন অরবিন্দ ঘোষ এবং তাঁর ভাই বারীন্দ্র ঘোষ। অনুশীলন সমিতি মূলত হিন্দু শাক্ত দর্শনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তৈরী হয়েছিল — বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বামী বিবেকানন্দের মতো মহাপুরুষেরাও আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। ঘটনাচক্রে এই শাক্ত দর্শন হ’ল হিন্দু দেবদেবীর পরাক্রমের পূজার্চনা বা শক্তির উপাসনা।
১৯০৫ খ্রীষ্ট্রাব্দে (প্রথম পর্যায়ের বঙ্গভঙ্গ) বাঙালি হিন্দু ভদ্রলোক ও মুসলমানদের আসল রূপ বেরিয়ে এসেছিল যখন ব্রিটিশরা ‘কম্যুউনাল অ্যাওয়ার্ড ১৯৩২’-এর প্রবর্তন করেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে, এই সাম্প্রদায়িক পুরষ্কার ছিল সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্বের প্রস্তাবনা। দক্ষিণ- এশীয়ান ইতিহাসের অধ্যাপিকা জোয়া চ্যাটার্জ্জী তাঁর বই— বেঙ্গল ডিভাইডেড-হিন্দু কম্যুউনালিজম্ অ্যান্ড পার্টিশন (১৯৩২-১৯৪৭)—এ ১৯৪৪ সালের বঙ্গভঙ্গ প্রসঙ্গে লিখেছিলেন- “ এই সাম্প্রদায়িক পুরস্কারের ফলে আইনসভায় বাঙালি ভদ্রলোকরা অক্ষম সংখ্যালঘু হিসাবে পরিণত হয়েছিলেন। …। বাংলার আইনসভার ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য মুসলমানরা হিন্দুদের তুলনায় শক্তিশালী পদে আসীন হয়েছিল”।
চ্যাটার্জ্জী বলেছিলেন: “ভদ্রলোকদের ভাগ্যের এই অবনমনে হিন্দুদের প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা দেখে অবাক হতে হয়”। তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে “ভদ্রলোকেরা ব্রিটিশদের আদর্শ জাতীয়তাবাদী নীতিগুলির কোনো সমালোচনা করেননি…। বরং তাদের ক্ষোভ ছিল বাংলার মুসলমানদের বিরুদ্ধে কারণ তারা বেশী সুবিধা ভোগের সুযোগ পেয়েছিল”।
ধীরে ধীরে জাতীয় রাজনীতিতে বাংলার প্রভাব হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে ভদ্রলোকদের রাজনীতি আরও সাম্প্রদায়িকতার সংকীর্ণতায় বাঁধা পড়েছিল। “চল্লিশ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে, তথাকথিত ভদ্রলোকদের এই রাজনীতির বৃত্ত পূর্ন হয়ে এসেছিল এবং উদ্বেগজনকভাবে জাতীয়তাবাদী আদর্শ থেকে সরে গিয়ে তাঁদের রাজনীতি, সংকীর্ণতার চূড়া স্পর্শ করেছে…। এবং যা ক্রমে রূপান্তরিত হয়েছে জাতীয়তাবাদ থেকে সাম্প্রদায়িকতায়” চ্যাটার্জ্জী তাঁর বইয়ে উল্লেখ করেছেন।
আধুনিক সময়ে, বিশেষত সাম্প্রতিককালে শেষ হওয়া টানটান ও উত্তেজনায় ভরপুর পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের রায় বেরিয়ে গেছে এবং যথারীতি হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীরা পরাজিত হয়েছে। কিন্তু বাংলা ও বাঙালি ভদ্রলোকরা কি আদৌ হিন্দুত্বকে প্রত্যাখ্যান করতে পেরেছেন? আর এই ৪ থেকে ৭৬টি আসন পাওয়ার ঘটনা কি বাংলালিংক মাটিতে বিজেপির উত্থানের আভাস দিচ্ছে না? এটাই হয়তো, অতীত ইতিহাসের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ইঙ্গিত করছে যে আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর পরে বাংলার মাটিতে কোন শক্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
লিখেছেন বি.সঞ্জয়
https://www.daijiworld.com/news/newsDisplay?newsID=842388#.YMRcSmY-27E.whatsapp