দু’টি মোটরবাইকের সংঘর্ষে যুবকের আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুশমন্ডি। পুলিশের গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। গাড়িটি ফেলে দেওয়া হয় নয়ানজুলিতে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে এলাকা।
করোনাকে (CoronaVirus) বাগে আনতে রাজ্যে একাধিক ক্ষেত্রে জারি বিধিনিষেধ। বেঁধে দেওয়া হয়েছে দোকান-বাজার খোলা রাখার সময়সীমা। নিষেধকে উপেক্ষা করেই নির্দিষ্ট সময়ের পরও দোকান খোলা রাখা হচ্ছে কোনও কোনও জায়গায়। জানা গিয়েছে, রবিবার নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরনোর পর কোথাও কোনও দোকান খোলা রয়েছে কিনা দেখতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেয় পুলিশ। সেই সময়ই কুশমন্ডির একটি দোকান ছিল। বেশ কয়েকজন মোটর বাইক আরোহী সেখানে ছিলেন। দোকান মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সময় তড়িঘড়ি পালাতে গিয়ে দুটি মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ২ জন। তাদের নাম সঞ্জয় সরকার ও বিশ্বজিৎ সরকার।বিশ্বজিতের চোট গুরুতর হওয়ায় তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় কুশমন্ডিতে। পুলিশের গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা।পুলিশের একটি গাড়ি ফেলে দেওয়া হয় নয়ানজুলিতে। রাস্তায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাদের সামনেও চলে বিক্ষোভ। দীর্ঘক্ষণ পর শান্ত হয় এলাকা। তবে এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে কুশমন্ডিতে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।