জি-৭ বৈঠকে ‘এক বিশ্ব এক স্বাস্থ্য’ নীতির উপর জোর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর

 বিশ্বজুড়ে উন্নত মানের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গ়়ড়ে তোলার বার্তা দিয়ে জি-৭ বৈঠকে ‘এক বিশ্ব এক স্বাস্থ্য’ নীতির কথা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  শনিবার ওই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন তিনি। জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমন্ত্রণেই এবার ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছে ভারত। ভারত ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ব্রিটেন। আগামীকাল সোমবারও জি-৭ সম্মেলনের পরবর্তী দুই পর্বের বৈঠকে অংশ নেবেন নরেন্দ্র মোদী।শনিবারের বৈঠকে উপস্থিত হয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জি-৭ এর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার করোনা সংক্রান্ত প্রযুক্তির পেটেন্টে ছাড় চেয়ে জি-৭ এর কাছে আবেদন জানায় ভারত। একই আবেদন জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির জেরে এবছর ভার্চুয়ালি আয়োজন করা হয়েছিল জি-৭ বৈঠকের। ‌মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন প্রমুখ।কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে যখন গোটা দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বেসামাল, ঠিক সেই সময়ে ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বিশ্বের একাধিক দেশ। সেই বিষয়টি তুলে ধরে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে মোদী যে বিষয়গুলির উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন, তা তুলে ধরে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিষেধক তৈরির প্রয়োজনীয় কাঁচামাল এবং অন্যান্য সরঞ্জামের সরবরাহ বজায় রাখা জরুরি যাতে ভারতের মতো দেশ টিকার উৎপাদন বাড়াতে পারে। কোভিডের মোকাবিলায় ভারত যে সব পদক্ষেপ করেছে, তা বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরতে চাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী, যাতে বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলি তা থেকে উপকৃত হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.