কয়েকদিন আগেই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এবার করোনার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং আনুষাঙ্গিক জিনিসের উপর থেকে করের হার কমালো জিএসটি কাউন্সিল৷ পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধের উপর জিএসটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠীর পরামর্শ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এ দিন জিএসটি কাউন্সিলের ৪৪ তম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছিল রাজ্যগুলি৷
তবে করোনার ভ্যাকসিনের উপরে ৫ শতাংশ হারে জিএসটি নেওয়া হবে৷ যদিও করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় হেপারিন, রেমডেসিভিরের মতো ওষুধের ক্ষেত্রে জিএসটি-র হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে৷ মেডিক্যাল গ্রেড অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, ভেন্টিলেটর, বাইপ্যাপ মেশিনের উপরেও জিএসটি-র হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে৷ ১২ শতাংশ থেকে জিএসটি-র হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করায় সস্তা হচ্ছে ভেন্টিলেটর, পাল্স অক্সিমিটার, মাস্ক, স্যানিটাইজার৷ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে৷ করোনা পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় কিটের উপরেও করের হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে৷ অ্যাম্বুল্যান্সের উপর জিএসটি-র হার কমিয়ে ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে৷
এ ছাড়াও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত টোসিলিজুমাব, অ্যাম্ফোটেরিসিন বি- এর মতো ওষুধের উপর থেকে কর পুরোপুরি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল৷