বেশ কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় রদবদল সম্ভাবনা নিয়ে একের পর এক মিটিং চলছে। শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার মধ্যে এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। কদিন আগেই রাজ্য থেকে তিনজন সাংসদকে দিল্লী ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ওই তিনজন সাংসদ হলেন সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিং আর নিশীথ প্রামাণিক। সুত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এদের ঘাড়ে নতুন দায়িত্ব দিতে পারে মোদী সরকার।
একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ফল আশানরূপ না হলেও, বঙ্গ বিজেপি সাংসদদের এবার বড়সড় দায়িত্ব দিতে চলেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন দিলীপ ঘোষ। কারণ আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই ওনার রাজ্য সভাপতির দ্বিতীয় কার্যকাল শেষ হচ্ছে। আর বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী, এক ব্যক্তি দুবারের বেশী সভাপতি হতে পারবেন না। এছাড়াও RSS যোগ থাকার কারণে দিলীপবাবু প্রথমবার কেন্দ্রের মন্ত্রীসভায় যেতে পারেন।
এছাড়াও রয়েছে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একজন মহিলা মুখ হিসেবে ওনার নাম উঠে এসেছে। এছাড়াও বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের নামও উঠে এসেছে। সুভাষবাবু বহু পুরনো বিজেপি কর্মী। এবং আরএসএস-র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থাকার কারণে ওনার ভাগ্যের শিকে ছিঁড়তে পারে।
উত্তর বঙ্গে আরও বেশী করে নজর দিতে চায় বিজেপি। আর সেই কারণে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বানাতে পারে মোদী সরকার। এছাড়াও মতুয়াদের মুখ বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও বড় দায়িত্ব পেতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায়।
এছাড়াও এবার একুশের নির্বাচনে সবথেকে ভালো ফল করা সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের নামও ওই তালিকায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির ১৮ জন সাংসদের মধ্যে একমাত্র সৌমিত্র খাঁয়ের এলাকা বিষ্ণুপুরে গত বিধানসভা নির্বাচনে দারুণ ফল করেছে বিজেপি। আর এই কারণেই ওনাকে এবার মোদী সরকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে।