সাপুর্জির সুখবৃষ্টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেল আমরা এখনো কতটা অসুরক্ষিত ।
জয়প্রিত আর জয়পাল দিবা নিদ্রা দিচ্ছিল খোদ কলকাতার উপকন্ঠে সব থেকে বিলাসবহুল কমপ্লেক্সে । যাদের এক একজনের মাথার দাম ১০ লাখ । ৪০ টির ওপর ক্ষমাহীন মামলার অপরাধের দাগী দুই অপরাধী । কি নিশ্চিন্তে মাসিক দশ হাজারে আস্তানা গেড়েছিল এরা । এস টি এফকে অভিনন্দন কম ক্ষতির মধ্য দিয়ে দু টি মাথাকেই নিকেশ করে সাময়িক স্বস্তি দিল আমাদের ।
কিন্তু প্রশ্নটা রেখে গেল । যার উত্তর দেওয়া এবং খোঁজা বড় জরুরী ।
বারবার কেন বাংলাকে এই ” বহিরাগতরা ” সেফ হেভেন মনে করেন ?
মনে পড়ে ২০২০ র ১৯ সেপ্টেম্বর এই বাংলার মুর্শিদাবাদে ৬ আলকায়দা জঙ্গিকে রাতের অন্ধকারে রাজ্য প্রশাসনকে না জানিয়ে তুলে নিয়ে গিয়েছিল এন আই এ । ডমকল, রাণীনগর, জলঙ্গী থেকে গ্রেফতার হয়েছিল নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মন্ডল, লিউইয়ন আহমেদ, আল মামুন কামাল ও আতিউর রহমান । রাজ্য প্রশাসন রেগে গিয়েছিল সেসময় সাংঘাতিক । কেন তাঁদের জানিয়ে অভিযান হয়নি ।
কেন তাঁদের জানিয়ে হয়নি সবাই জানেন কারণটা । জানিয়ে করলে কি হত সেটাও বলার অপেক্ষা রাখে না । কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৬ জনকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল এন আই এ এটাই সত্য । এবং এটাও জানা গিয়েছিল ধৃতদের সঙ্গে পাকিস্থানে থাকা জঙ্গি হামজা ভাইয়ের নিবিড় যোগাযোগ ছিল । পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লী হয়ে শ্রীনগর গিয়ে ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে সীমান্তের ওপারে যোগাযোগের মাধ্যমে বিস্ফোরক সংগ্রহ করে কাজে নামত এরা । শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি । এন আই এ র তৎপরতায় ।
এর আগে এ রাজ্যে জামাত – উল – মুজাহিদীন বা জে এম বি গোষ্ঠীর সন্ধান মিলেছিল বছর সাতেক আগে । খাগড়াগড় কাহিনী আমরা সবাই জানি । এবং তাকে ঢাকা চাপা দেওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টাও আমরা সে সময় দেখেছি ।
ক দিন আগে গোবর ডাঙ্গা থেকে বিহারের পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেল এখানে নিশ্চিন্ত আশ্রয়ে থাকা সে রাজ্যের এক শার্প শ্যুটারকে ।
আজ জানা গেল দুই গ্যাং স্টারের কাহিনী ।
প্রশ্নটা হল বারবার পশ্চিমবঙ্গকে সেফ হেভেন ভাবার বা মনে করার স্পর্ধাটা এরা কি ভাবে পায় ? কোথা থেকে পায় ? আমরা আজও জানিনা এই রাজ্যে আরও কত এরকম আস্তানা সবার অলক্ষে গড়ে উঠেছে ! বা লালিত পালিত হচ্ছে !!
একটা করে সুখবৃষ্টি আসে যায় । কিছুদিন পর দৃষ্টি ঘুরে যায় । আলোচনা থমকে যায় । ওদিকে অলক্ষে স্পর্ধা বাড়ে তাদের যারা জানে এই পশ্চিমবঙ্গ অন্য ধরণের ” বহিরাগত “দের কিন্তু ভীষণই প্রশ্রয় দেয় !
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ( ৯৮৩০৪২৬০৭৮ )