কেন্দ্রের পক্ষ থেকে খারিফ শস্যের নূন্যতম সহায়ক মূল্য ৫০ শতাংশ বাড়ানো হল। গতকাল অর্থাৎ বুধবারই নবান্নে বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা রাকেশ টিকায়েতের বৈঠক ছিল। সেখানে কেন্দ্রের কৃষক আইন বাতিলের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন তাঁদের পাশে রয়েছে। অন্যদিকে, এদিনই কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে বুধবার জানানো হল, বেশ কিছু খরিফ শস্যের রিটার্ন ওভার কস্ট ৫০ থেকে ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হল।
এদিন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, “আমরা সংসদে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট জানিয়েছি, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য যেমন চলছে তেমনই বজায় থাকবে। এমএসপি নিয়ে অনেকেই অনেক রকম ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করতে চাইছে। আরও একবার জানিয়ে দিই, এমএসপি একটি ধারাবাহিক বিষয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর মান বৃদ্ধি পায়। এই নিয়ে দ্বিমতের কোনও জায়গা নেই।”
বুধবার কৃষিক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য অর্থাৎ এমএসপি বৃদ্ধি করা হল। গম, জোয়ার, বাজরা, রাগি, মুগডাল, অড়হর ডাল-সহ বেশ কিছু খরিফ শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিক্রয়মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে ব্যাপকভাবে। সবথেকে বেশি বৃদ্ধি হয়েছে বাজরার বিক্রয়মূল্য। গত বছর বাজরার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ছিল প্রতি কুইন্টালে ২ হাজার ১৫০ টাকা, এদিন তা বেড়ে হল ২ হাজার ২৫০ টাকা। বাজরার রিটার্ন ওভার কস্ট বৃদ্ধি হয়েছে ৮৫ শতাংশ। পাশাপাশি মটরের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ, অড়হর ডালের ক্ষেত্রে ৬২ শতাংশ এবং হাইব্রিড জোয়ার, রাগি, মুগ ডাল, তুলোতে বৃদ্ধি হয়েছে ৫০ শতাংশ বিক্রয়মূল্য।