আচমকাই দিল্লী উড়ে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপর মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ঠিক তাঁর পরের দিন বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর কাছে বড় দিন ছিল। কারণ বাংলার বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তাঁর।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাসভবনে গিয়ে ওনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিজেপির বেসুরো এবং ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন শুভেন্দু। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ওনাকে বাংলায় সিএএ লাগু করার আবেদন জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘দেশের পাঁচটা রাজ্যে সিএএ লাগু হয়েছে। অ-মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ তো আর আলাদা দেশ নয়। ভারতেরই একটা রাজ্য। কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও রাজস্থানে সিএএ-কে স্বাগত জানিয়েছেন। আর কেউ আবার ২১৩ আসনে জয়ী হয়ে ভাবছেন বাংলা আলাদা একটা দেশ।”
উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই মন্তব্য যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল তা বলাই বাহুল্য। রাজ্যসভায় সিএএ পাশ হলেও দেশে এখনও পর্যন্ত লাগু করা সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রের তরফ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, করোনার কারণে এই আইন লাগু করতে কিছুটা দেরী হচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই গোটা দেশে লাগু হয়ে যাবে। আরেকদিকে, বাংলার ভোট মেটার পরই দেশের পাঁচটি রাজ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। ওই পাঁচ রাজ্যের পর বাকি রাজ্যগুলোতেও একই ভাবে নাগরিকত্ব প্রদান জারি হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।