অবশেষে ডেথ সার্টিফিকেট সহ শ্রীরামকৃষ্ণের শেষকৃত্যের নথি তুলে দেওয়া হল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষকে। এদিন কলকাতা কর্পোরেশনের তরফে অতীন ঘোষ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজের হাতে এই ঐতিহাসিক নথির ফাইলটি তুলে দেন। যা গচ্ছিত থাকবে বেলুড়মঠের সংগ্রহশালায়। ফলে এবার থেকে ভক্তেরা চাইলে আশ্রমের অনুমতিক্রমে এই নথি চাক্ষুষ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, শতাধিক বছর আগে মহাপ্রয়ান ঘটে যুগবতার শ্রীরামকৃষ্ণের। দিনটা ছিল ১৮৮৬ সালের ১৫ অগাস্ট। সেদিনের সেই শেষকৃত্য সম্পর্কে এতদিন বিস্তারিত জানা সম্ভব ছিল না। কিছুদিন আগে কলকাতা পুরসভার কাছে ওই দিনের যাবতীয় নথি চেয়ে আবেদন করে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। প্রসঙ্গত, কাশীপুর শ্মশাণে শ্রীরামকৃষ্ণের শেষকৃত্যের নথি দীর্ঘদিন ধরে সংগৃহীত ছিল কলকাতা পুরসভার মহাফেজখানায়। রামকৃষ্ণ মিশনের থেকে আবেদন পাওয়ার পরে কলকাতা পুরসভা ওই নথির অবিকল নকল আরেকটি কপি তৈরি করে।
এ দিন সেই নথিই রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দের হাতে তুলে দিলেন অতীন ঘোষ। নথিতে তথ্য অনুযায়ী রামকৃষ্ণ পরমহংসের মহাপ্রায়ণ ঘটে গলায় ঘা-এর কারণে। সেখানে ৯৫০ নম্বর এন্ট্রিতে লেখা—রাম কিষ্টো প্রমোহংশ। ৪৯ কাশিপুর রোড, বয়স ৫২। মৃত্যু তারিখ ১৫ আগস্ট ১৮৮৬।